যাদবপুরের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক প্রাক্তন ছাত্রকে আটক করল পুলিশ। আটক প্রাক্তন পড়ুয়ার নাম সৌরভ চৌধুরী। তাকে জেরা করছে পুলিশ। জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন)। সৌরভ চৌধুরী'র কথা এফআইআরে জানিয়েছিলেন যাদবপুরের মৃত ছাত্রের বাবা। তিনি বলেছিলেন, 'আমার বিশ্বাস, সৌরভের নেতৃত্বে আমার বড় ছেলের উপর অত্যাচার করা হয়েছে। ওঁরাই আমার ছেলেকে নীচে ফেলে মেরে দিয়েছে।' শেষ পর্যন্ত তদন্ত এগোতেই তাঁকে আটক করল পুলিশ।
অকালেই ঝরে গিয়েছে যাদবপুরের ছাত্র। বুধবার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের তিনতলার বারান্দা থেকে নীচে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। তাঁর রহস্য মৃত্যু ঘিরে তোলপাড় অবস্থা। মৃতের বাবা অভিযোগ করেন যে, তাঁর ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। বাংলা বিভাগের ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতজন অধ্যাপক, তিনজন ছাত্র প্রতিনিধি এবং একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতেই মৃত ছাত্রের বাবার সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথন হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন- দোষীদের বরদাস্ত নয়, যাদবপুরের স্বপ্নদীপের বাবাকে ফোনে আশ্বাস মমতার
এই ঘটনায় যাদবপুরের হস্টেল থাকা প্রাক্তনীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিল ছাত্রের পরিবার। তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশেও অভিযোগ করেছিলেন মৃত ছাত্রের বাবা। সেখানেই নাম ছিল প্রাক্তন ছাত্র সৌরভ চৌধুরীর।
আরও পড়ুন- পুলিশি প্রশ্ন এড়াচ্ছেন পড়ুয়াদের একাংশ, যাদবপুর-কাণ্ডে আরও জোরালো র্যাগিং তত্ত্ব
ছেলের মৃত্যুর কিনারায় বৃহস্পতিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয় নিহত ছাত্রের বাবার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি পুরোটা জানিয়ে বলেছিলেন, ‘আমি খুব কষ্টে আছি। আমার খুব ভয় করছে। তোমরা তাড়াতাড়ি এসো।’ এরপরই মুখ্যমন্ত্রীকে বাবার প্রশ্ন ছিল, ‘আপনি বলুন না, কেউ খামোখা কেন তিনতলা থেকে ঝাঁপ দিতে যাবে?’
জানা যায় যে, জবাবে ছেলে-হারা বাবা’কে এরপরই তদন্তের বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তে সবদিক খতিয়ে দেখছে। যারা যারা জড়িত তাদের কাউকেই বরদাস্ত করা হবে না।’ এই কথোপকথেন ২৪ ঘন্টা না কাটতেই অভিযুক্তকে আটক করল পুলিশ।