কবর থেকে তোলা হল আনিস খানের মৃতদেহ। এদিন আমতার সারদা গ্রামের খাঁ পাড়ায় কবর থেকে তোলা হল আলিয়ার ছাত্রনেতার দেহ। জেলা জজের উপস্থিতিতে এদিন সিট কবর থেকে আনিসের মরদেহ তোলে। কলকাতা হাইকোর্টে নির্দেশে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হবে আনিস খানের।
সোমবার সকালে সিটের সদস্যরা আনিসের আমতার বাড়িতে পৌঁছন। সিটের তিন সদস্যের এই দলে ছিলেন হাওড়ার বিএমওএইচ এবং এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটও। তাঁরা প্রথমে আনিসের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে দেহ কবর থেকে তোলার তোড়জোড় শুরু করেন। কিন্তু বাদ সাধেন আনিসের বাবা। তিনি জানান, জেলা জজ নিজে না এলে ছেলের দেহ তিনি কবর থেকে তুলতে দেবেন না। এরপরেই সিটের সদস্যরা জেলা জজের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। শেষমেশ বেলা সাড়ে ১২ টানা নাগাদ জেলা জজ পৌঁছন আমতার সারদা গ্রামে। শুরু হয় কবর থেকে দেহ তোলার কাজ।
জেলা জজের উপস্থিতিতেই এদিন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা আনিস খানের মরদেহ কবর থেকে তোলে সিট। আনিস-মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে দ্বিতীয়বার তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত হবে। এদিন কবর থেকে আনিসের দেহ তোলার গোটা প্রক্রিয়াটিরই ভিডিওগ্রাফি কার হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। এমনকী দ্বিতীয়বার আনিসের দেহের ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়াটিরও ভিডিওগ্রাফি করা হবে বলে ওই সূত্র জানিয়েছে।
আরও পড়ুন- যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে দেশে বাংলার পড়ুয়ারা, নিখরচায় পৌঁছে দেবে রাজ্য, টুইট মমতার
উল্লেখ্য, এর আগে শনিবার ভোররাতে আমতায় আনিস খানের মৃতদেহ কবর থেকে তুলতে গিয়েছিল পুলিশ। তবে ওই দিন আনিসের দেহ তুলতে বাধা দেয় তাঁর পরিবার ও গ্রামবাসীরা। বাধ্য হয়েই ফিরে যেতে হয় সরকারি কর্মীদের। পুলিশকে আগেই আজ সোমবার আনিসের দেহ তোলার ক্ষেত্রে সম্মতির কথা জানিয়েছিল তাঁর পরিবার।
এদিকে, গত শনিবার আনিসের দেহ কবর থেকে তুলতে বাধা পারওয়ার পরপরই একটি টুইট করেছিল রাজ্য পুলিশ। সেই টুইটে আনিস-মৃত্যুর তদন্তে দেরি করানোর উদ্দেশ্যে হিংসাত্মক বিক্ষোভের অভিযোগ তোলা হয়। আনিসের পরিবার ও গ্রামবাসীদের একাংশের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে সরব হয় রাজ্য পুলিশ।