শিক্ষা থেকে গরু, কয়লা থেকে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডি-সিবিআই জেরা জারি, তার মাঝেই আরেক কেন্দ্রীয় এজেন্সি আয়কর দফতরের নিশানায় বাংলা। মঙ্গলবার রাজ্যের কারামন্ত্রীর ছেলেকে নোটিস ধরিয়েছে আয়কর দফতর। আর বুধবার বেলা গড়াতেই বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষের চালকল, বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালাচ্ছে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে ওই তিন জায়গা ঘিরে চলছে অভিযান।
তবে কী কারণে এই আয়কর হানা, তা এখনও স্পষ্ট করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। আয়কর দফতরসূত্রে জানা গিয়েছে, আইটি রিটার্নের উল্লেখিত বিধায়কের সম্পত্তির থেকে বাস্তবে সম্পত্তির পরিমান বেশি। তাঁর নামে, বেনামে নাকি অনেক সম্পত্তি রয়েছে। যা দেখতেই এই তল্লাশি।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তন্ময় ঘোষ বিজেপির টিকিটে বিষ্ণুপুর থেকে ভোটে জিতেছিলেন। পরে ওই বছরই অগাস্টে তিনি যোগ দেন তৃণমূলে। তবে, বিধানসভার খাতায় কলমে তিনি এখনও বিজেপির বিধায়ক। তাঁর বিরুদ্ধে বিধানসভার স্পিকারের কাছে দলত্যাগ বিরোধী আইনে বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন- ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে? আমাদের লিডার?’ পাল্টা প্রশ্ন জ্যোতিপ্রিয়র!
এদিন আয়কর তল্লাশির শুরুর দিকে বিধানসভাতেই ছিলেন বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। তল্লাশি নিয়ে নিয়ে তেমন কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।
এই অভিযান নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'রেশন দুর্নীতিতে তন্ময় ঘোষও জড়িত। ও ধান চোরও। দুর্নীতির টাকা ওঁর কাছেও পৌঁছেছে। তল্লাশির খবর শুনেই বিধায়নসভা থেকে ও বেরিয়ে গিয়েছেন। দুর্নীতির তদন্ত করতে করতে কত কিছু জান যাবে সেটাই দেখুন।'
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেছেন, 'নারায়ণ রানে, হিমন্ত বিশ্বশর্মারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে ওদের বিরুদ্ধে আর দুর্নীতি হয় না। লোডশেডিংয়ের নেতা শুভেন্দুও ভয়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। আর উল্টো পথে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের অংশ হতে তন্ময় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় এখন আয়কর তল্লাশি চলছে ওর বাড়ি, অফিস, রাইস মিলে। প্রতিহিংসা স্পষ্ট।'