'দ্য প্রেসিডেন্ট অফ ভারত', রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর পক্ষ থেকে জি–২০ শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষ্যে দেশ–বিদেশের অতিথিদের নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্র ঘিরেই আপাতত বিতর্ক তুঙ্গে। তাহলে কী এবার দেশের নাম 'ইন্ডিয়া'র বদলে শুধুই 'ভারত' করতে তৎপর মোদী সরকার? মঙ্গলবার সকাল থেকে এই প্রশ্নেই শাসক বিরোধী টানাপোড়েন তুঙ্গে। দেশের নামকরণ বিতর্কে গতকালই কেন্দ্রেয় বিরোধিতা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আর বুধবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন মোদী সরকারের এই নাম বদলের হিড়িক? এক্স বার্তায় সেটাই ব্যাখ্যা করেছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
সংবিধানে 'ভারত' এবং 'ইন্ডিয়া' এই দু'য়েরই উল্লেখ রয়েছে। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে সব বাদ দিয়ে দেশের নাম শুধু 'ভারত' রাখার দাবি উঠছে। এই নেপথ্যে আরএসএস-এর দর্শন রয়েছে বলে দাবি করছে তামাম বিরোদী দলগুলো। এছাড়াও তাদের দাবি, বিরোধী জোটের নাকরণ হওয়ায় 'ইন্ডিয়া' নামটিকে আর সহ্য হচ্ছে না গেরুয়া বাহিনীর। তাই এই পদক্ষেপের বাবনা। পাল্টা পদ্ম শিবিরের যুক্তি- ব্রিটিশদের দেওয়া দেশের 'ইন্ডিয়া' নামটি কেন এখনও ব্যবহার হবে। ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর সংসদে আসন্ন বিশেষ অধিবেশনে দেশের নামকরণ সম্পর্কিত বিল মোদী সরকার পেশ ও পাস করাতে পারে বলে জল্পনা।
দেশের নামকরণ ইস্যুতে বিরোধীদের কটাক্ষ- ভয় পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কুর্সি জয়ের হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে তাই দেশেরই নাম বদলকেই ভোটে তরুপের তাস করতে মরিয়া বিজেপি। ঘটা করে ঘোষমা করা 'ভোট ফর বিজেপি', 'ভোট ফর ইন্ডিয়া', 'মেক ইন ইন্ডিয়া', 'খেলো ইন্ডিয়া', 'স্কিল ইন্ডিয়া', 'ডিজিটাল ইন্ডিয়া'য় এখন অরুচি নমোর।
এক্সে কী লিখেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়?
বুধবার দুপুরে দেশের নামবদল বিতর্কে বিরাট ইঙ্গিত দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যয়। এক্সবার্তায় (আগে টুইটার) তিনি লিখেছেন, 'ভারত বনাম ইন্ডিয়া আসলে বিজেপির দ্বারা সংগঠিত একটি বিভ্রান্তি মাত্র। আসল ইস্যুগুলি থেকে নজর ঘুরিয়ে দিতে চাইছে। আসুন আমরা এই প্ররোচনায় পা না দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় তুলি। সরাসরি আক্রমণ করি আকাশছোঁয়া দাম, ব্যাপক মূদ্রাস্ফিতি, সাম্প্রদায়িক বিভাজন, বেকারত্ব, সীমান্ত বিরোধ, ডাবল ইঞ্জিন সরকারের শূন্যতা এবং জাতীয়তাবাদের ফাঁকা আওয়াজের জন্য।'