S. Jaishankar China visit: তিন দিনের চিন সফরে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর সোমবার চিনের উপ-রাষ্ট্রপতি হান ঝেং-এর সঙ্গে দেখা করেন। দুই নেতার মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এস. জয়শঙ্কর এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টও শেয়ার করেছেন। তিনি তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত হতে এসসিও-র সদস্য দেশগুলির বৈঠকে অংশ নেবেন। এতে সকল সদস্য দেশের বিদেশমন্ত্রীরা অংশগ্রহণ করবেন। জয়শঙ্করের চিন সফর পাকিস্তানের জন্য বড় ধাক্কা। কারণ চিন পাকিস্তানের 'ঘনিষ্ঠ বন্ধু'।
এস. জয়শঙ্করের এই সফরে ভারত ও চিনের মধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি এক্সে এক পোস্টে লিখেছেন, "আজ বেজিংয়ে পৌঁছানোর পর, আমি উপ-রাষ্ট্রপতি হান ঝেং-এর সাথে দেখা করতে পেরে খুশি। আমি তাকে চিনের এসসিও সভাপতিত্বের প্রতি ভারতের সমর্থনের কথা জানিয়েছি। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করার দিকেও মনোযোগ দেওয়া হয়েছে।"
চিন সফরে গিয়ে বড় বার্তা দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। বেইজিংয়ে পৌঁছেই তিনি সাক্ষাৎ করলেন চীনের উপ-রাষ্ট্রপতি হান ঝেং-এর সঙ্গে। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন, এসসিও-তে সহযোগিতা, এবং কৌশলগত সম্পর্কের ভবিষ্যৎ দিক নিয়ে আলোচনা হয়। একই সঙ্গে উঠে এসেছে কৈলাস মানসরোবর যাত্রা, সীমান্ত শান্তি, ও বাণিজ্যিক সংযোগের মতো স্পর্শকাতর ইস্যুগুলিও।
ভারত-চিন বৈঠকের হাইলাইটস
- তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত হতে চলা এসসিও (Shanghai Cooperation Organisation) বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন জয়শঙ্কর।
- উপ-রাষ্ট্রপতি হান ঝেং-কে ভারতের তরফে এসসিও-তে চিনের সভাপতিত্বে সমর্থন জানানো হয়েছে।
- গালওয়ান সংঘর্ষ-এর পর এই প্রথম চিন সফরে গেলেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী।
- চিন সফরে জয়শঙ্কর আরও সাক্ষাৎ করেছেন এসসিও মহাসচিব নুরলান ইয়েরমেকবায়েভ-এর সঙ্গে।
পাকিস্তানের উদ্বেগ বাড়ছে?
চিনকে পাকিস্তান সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে মনে করে। এবার ভারতের সঙ্গে চিনের উষ্ণ সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু হওয়ায় ইসলামাবাদের অস্বস্তি বাড়তে পারে, এমনটাই মনে করছেন কূটনৈতিক মহল। বিশেষজ্ঞদের মতে, চিন এখন কৌশলগত ভারসাম্য বজায় রাখার দিকে এগোচ্ছে, যার ফলে পাকিস্তানের একচেটিয়া প্রভাব খর্ব হতে পারে।