Bangladesh Temple Demolition: বাংলাদেশে তোলপাড়! 'সংখ্যালঘু' হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্থানের উপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে এবার সরব হল ভারত।
ঢাকার খিলক্ষেত এলাকার প্রাচীন দুর্গা মন্দির ভাঙার ঘটনায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক(MEA)। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি যে, কিছু চরমপন্থী ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় দুর্গা মন্দির ভাঙার দাবি তোলে।মন্দিরকে সুরক্ষা দেওয়ার বদলে অন্তর্বর্তী সরকার মন্দিরকে "অবৈধ দখলদারি' বলে দাবি করে মন্দির ভাঙচুরের অনুমতি দেয়।” তিনি আরও জানান, ভাঙচুরের সময় মন্দিরের প্রতিমা স্থানান্তরের আগেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়, তাঁদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সম্পত্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করা”।
ঢাকার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ২৪ জুন রাতে মন্দিরে একদল উগ্র জনতা ঢাকার দুর্গামন্দিরে হামলা চালায়। হুমকি দেওয়া হয় ভক্তদের। তারা ১২ ঘণ্টার 'আল্টিমেটাম' দেয় মন্দির খালি করার। এরপর ২৭ জুন সকালেই কোনো আগাম নোটিস ছাড়াই মন্দির গুঁড়িয়ে দেয় প্রশাসন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কালী ও শিবের প্রতিমা বুলডোজারের নিচে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। হিন্দু সম্প্রদায়ের দাবি, তাঁরা প্রতিমা সরানোর জন্য সময় চেয়েছিলেন, কিন্তু প্রশাসন কোন সহযোগিতা করেনি।
বাংলাদেশ রেলের তরফে দাবি করা হয়েছে মন্দিরটি রেলওয়ের জায়গায় অবৈধ দখলে গড়ে ওঠা এবং ১৯৭০ সালের অবৈধ দখলদারি আইন অনুযায়ী সেটি উচ্ছেদ করা হয়েছে। খিলক্ষেত বাজার সংলগ্ন এলাকায় বড়সড় উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে। তবে স্থানীয় হিন্দু সমাজ এবং মন্দির কর্তৃপক্ষ এই দাবিকে খণ্ডন করেছে। তাঁদের দাবি, এই জমি একসময় রেলওয়ের তরফেই মন্দির নির্মাণের জন্য দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনা সামনে আসতেই বাংলাদেশ ও ভারতের হিন্দু সমাজে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনা আগের থেকে বহুগুণে বেড়েছে বলে অভিযোগ।