India Pakistan Tenson: পহেলগাঁও কাণ্ডে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওয়াটার স্ট্রাইক ভারতের। পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে ও কূটনৈতিক চাপ বজায় রাখতে ভারত ইতিমধ্যেই দীর্ঘদিনের সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Waters Treaty - IWT) ইতিমধ্যেই স্থগিত করেছে। এবার চেনাব নদীর উপর নির্মিত দুটি গুরুত্বপূর্ণ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প—বাগলিহার (৯০০ মেগাওয়াট) এবং সালাল (৬৯০ মেগাওয়াট)—এ মাসিক ফ্লাশিং চালুর সুপারিশ করল কেন্দ্রীয় জল কমিশন (CWC)।
সূত্র জানিয়েছে, মে মাসের শুরুতে শুরু হওয়া ফ্লাশিং অভিযানে ইতিমধ্যেই এই দুই জলাধার থেকে ৭.৫ মিলিয়ন ঘনমিটার (MCM) পলি অপসারণ করা হয়েছে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
প্রথমবারের মতো বড়সড় ফ্লাশিং, পাকিস্তানকে আর গুরুত্ব দিচ্ছে না ভারত
১৯৮৭ সালে সালাল এবং ২০০৮-০৯ সালে বাগলিহার প্রকল্প চালু হলেও এতদিন ফ্লাশিং সম্ভব হয়নি পাকিস্তানের আপত্তির কারণে। সিন্ধু জল চুক্তির আওতায় ভারতকে আগেই জানাতে হতো এই ধরনের পদক্ষেপ সম্পর্কে। তবে চুক্তি এখন স্থগিত, ফলে ভারতের আর কোনও বাধ্যবাধকতা নেই পাকিস্তানকে জানানোর। ৪ মে ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর প্রতিবেদনে এই 'মহড়ার' কথা প্রথম প্রকাশ্যে আসে। সেখানে জানানো হয়, NHPC ও জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে পলি সরানোর কাজ শুরু হয়েছে।
কেন্দ্রীয় জল কমিশনের এক ঊর্ধ্বতন আধিকারিক জানিয়েছেন,"উভয় প্রকল্পে প্রতি মাসে ফ্লাশিং চালানো হবে। এর জন্য শীঘ্রই একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (SOP) জারি করা হবে।"
ফ্লাশিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
জলাধারে বালি, পলি ও কাদা জমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিপর্যয় ঘটায় এবং জলধারণ ক্ষমতা কমায়। নিয়মিত ফ্লাশিংয়ের মাধ্যমে এই জমা পলি সরিয়ে টারবাইনের কার্যকারিতা বাড়ানো সম্ভব, একই সঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদন নিরবচ্ছিন্ন রাখা যায় এবং প্রকল্পের আয়ুও দীর্ঘায়িত হয়।
পাকিস্তানের আপত্তি উপেক্ষা করেই এগোচ্ছে ভারত
পাকিস্তান বারবার ফ্লাশিংয়ের বিরোধিতা করেছে এই যুক্তিতে যে এতে হঠাৎ করে জলধারায় পরিবর্তন আসে। তবে এবার ভারত কোনও তথ্য ভাগ না করে, একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে এই ফ্লাশিং চালিয়ে যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি ভারতের দীর্ঘমেয়াদি কূটনীতির ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ।