India Uk Relation: শনিবার ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বিট্রেনের বিদেশমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি। বৈঠকে সন্ত্রাসবিরোধী কড়া অবস্থান থেকে শুরু করে বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও অভিবাসন—বিভিন্ন বিষয়ে দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করা হয়।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' বার্তা দিল ভারত
বৈঠকের পর বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, “ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। যারা সন্ত্রাস চালায় ও যারা তার শিকার, তাদের মধ্যে কোনও তুলনা টানা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।” জম্মু-কাশ্মীরের পাহালগাঁওয়ে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার ঘটনায় ব্রিটেনের তীব্র নিন্দার জন্যও ধন্যবাদ জানান তিনি।
মোদী-ল্যামি সাক্ষাৎ: কূটনৈতিক সম্পর্কের অগ্রগতিতে সন্তোষ
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “ডেভিড ল্যামির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভালো লাগল। সাম্প্রতিক এফটিএ (FTA) এবং ক্রমবর্ধমান কৌশলগত অংশীদারিত্ব দুই দেশের সম্পর্ককে মজবুত করেছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ে ব্রিটেনের সমর্থনকেও আমরা গুরুত্ব দিই।”
FTA ও প্রযুক্তি খাতে নতুন দিগন্ত
সম্প্রতি স্বাক্ষরিত ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) এবং Double Contribution Convention প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, এটি শুধু বাণিজ্যই নয়, কৌশলগত সম্পর্কেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। দু’দেশের মধ্যে ‘Technology Security Initiative (TSI)’ চালুর ফলে AI, টেলিকম, হেল্থটেক, কোয়ান্টাম, সেমিকন্ডাক্টর এবং ক্রিটিক্যাল মিনারেলস খাতে সহযোগিতা আরও বাড়বে।
শিক্ষাক্ষেত্রে জোরালো সম্পর্ক
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ব্রিটেনের একাধিক নামি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস স্থাপনের উদ্যোগ ও ম্যানচেস্টার ও বেলফাস্টে নতুন কনস্যুলেট খোলার কথা তুলে ধরেন জয়শঙ্কর। ডেভিড ল্যামি বলেন, “ভারত আমাদের ‘প্ল্যান ফর চেঞ্জ’-এর গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট কেবল শুরু, আমরা আরও গভীর ও আধুনিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই।” এই চুক্তির ফলে প্রতি বছর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২৫ বিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত বাড়বে বলে দাবি করেছেন তিনি।
সাংস্কৃতিক সহযোগিতায় নতুন অধ্যায়
সাম্প্রতিক ‘UK-India Programme of Cultural Cooperation’ চুক্তির ফলে শিল্প, সংস্কৃতি, পর্যটন ও খেলাধুলার ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও গভীর হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞমহল।