উৎসবের ছুটিতে বাঙালির সেরা গন্তব্য দিঘা। চুটিয়ে আনন্দের হাতছানি। এবার সৈকত নগরীতেই পর্যটকদের জন্য থাকছে বিরাট চমক। ষষ্ঠী থেকে দিঘায় পথ চলা শুরু হচ্ছে ইন্ডিয়ান কফি হাউসের।
দিঘায় কফি হাউস
সৈকত নগরীর প্রাণকেন্দ্রে জাহাজের আদলে তৈরি বাড়িতেই খুলছে কফি হাউস। পুরোটাই এয়ার কন্ডিশন। দিঘার কফি হাউসে থাকছে ১২০ জনের বসার আয়োজন। সারাদিন বাজবে মান্না দের গান।
উদ্বোধনের দিন বিশেষ ছাড়
আগামী শুক্রবার উদ্বোধন হবে দিঘার কফি হাউসের। সেদিন সব মেনুর উপরই থাকছে ২০ শতাংশ ছাড়।
মেনুতে কী কী?
নানা ধরনের কফি ছাড়াও ফিশ ফিঙ্গার, মাটন কবিরাজি থেকে চাইনিজ, তন্দুর, মকটেল, সবই পাওয়া যাবে এই কফি হাউসে। সঙ্গে অবশ্যই প্রবাদ প্রতীম সঙ্গীত শিল্পী মান্না দের প্রিয় পকোড়া ও ব্ল্যাক কফি।
পুজোর সময় আর কী থাকছে?
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র কফি হাউসের উদ্বোধন করবেন। পুজোর সময় এই কফি হাউসে বসবে লোক সঙ্গীতের আসর। গান শোনাবেন লোক সংঙ্গীত শিল্পী তীর্থ বিশ্বাস সহ অন্যান্যরাও।
কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসের ইতিহাস
বই পাড়ার মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা এক ঐতিহ্য কফি হাউস। রবীন্দ্রনাথ থেকে নেতাজি অমর্ত্য সেন মান্না দে সত্যজিৎ রায় ঋত্বিক ঘটক থেকে মৃণাল সেন গোটা বাঙালির ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে ইন্ডিয়ান কফি হাউস। আলবার্ট হল থেকে কফি হাউজের উত্তরণের সময়টা স্বাধীনতা সংগ্রামের। ঐতিহাসিক কফি হাউসের প্রত্যেকটি টেবিলে তখন অনেক বিপ্লবের আনাগোনা।
১৬ জন কর্মচারীকে কফি বোর্ড থেকে ছাঁটাই করা হয় ১৯৫৭ সালে। এই ১৬ জন কর্মচারীর হাত থেকেই সূচনা হয় ইন্ডিয়ান কফি হাউসের। ১৯৫৮ সাল থেকে পাকাপাকিভাবে কোঅপারেটিভ নিবন্ধিত হয় যা বর্তমানেও কো-অপারেটিভ কর্মী ও কর্মচারীর দ্বারা পরিচালিত। দার্জিলিং এর পরে এবার দীঘার সমুদ্র সৈকতে ঢেউ গুনতে গুনতে কফির কাপে চুমুক দিতে পারবেন পর্যটকরা। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীঘার সফরে কফি হাউস তৈরীর প্রস্তাবনা অনুমোদন করেছেন।