'বাংলা'কে ধ্রুপদী ভাষা ঘোষণার দাবিকে সামনে রেখে শেষ হল ১২ দিন ব্যাপী 'যতদূর বাংলা ভাষা' অনুষ্ঠান। গত ২৭ আগস্ট গঙ্গা বক্ষে এই অনুষ্ঠানের সূচনা হয়েছিল। এরপর ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দীর্ঘ ১২ দিনব্যাপী বঙ্গীয় সাহিত্য, শিল্প ও সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে কলকাতার বিভিন্ন মঞ্চে কবিতাপাঠ, আবৃত্তি, গল্পপাঠ, শ্রুতিনাটক, সংগীত, নৃত্য, শিল্পকলা, ও নাট্যাভিনয় অনুষ্ঠিত হয়। গোটা অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন রাজ্য সহ পাঁচটি দেশের বাংলা ভাষার ১৫০০ বেশি কবি, সাহিত্যিক অংশ গ্রহণ করেন।
এই উদ্যোগ সম্পর্কে 'যুগসাগ্নিক' পত্রিকার সম্পাদক প্রদীপ গুপ্ত বলেন, 'সমগ্র ভূখণ্ডে যেখানেই বাংলা ভাষা উচ্চারিত হয় আমরা সেখানেই পৌঁছাতে চাই। আর এই কার্যসিদ্ধি সম্ভব হয়েছে কবিতা-সাহিত্য-সংস্কৃতির হাত ধরে।' বেশ কয়েকটি সাহিত্য পত্রিকার সহযোগিতায় বিগত তিন বছর ধরে হয়ে আসছে 'যতদূর বাংলা ভাষা' শীর্ষক অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ভারতের সমস্ত রাজ্যের বাংলা ভাষার কবি-সাহিত্যকদের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলা ভাষার কবি-সাহিত্যিকদের মিলনক্ষেত্র গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন- ভোটে হিংসা থেকে উপাচার্য নিয়োগ তরজা, একান্ত আলাপচারিতায় নানা প্রশ্নের সোজাসাপটা উত্তর রাজ্যপালের
বিগত বছরের তুলনায় এবারের অনুষ্ঠানসূচি আরও বৃহৎ আঙ্গিকে করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। ১২ দিন ব্যাপী এই সূচি ভারতবর্ষে ইদানিংকালে সরকারি বা বেসরকারি ক্ষেত্রে সর্ব প্রথম ও সর্ববৃহৎ বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতির মিলন মেলার চেহারা নিয়েছিল বলে উদ্যোক্তারা দাবি করেছেন।
ভারতের ১২টি রাজ্য ও বিশ্বের ৬টি দেশের মোট ১৫০০ কবি-সাহিত্যিক ও সংস্কৃতি মনষ্ক মানুষ এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয়ে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও অন্তোদয় অনাথ আশ্রমের শিশুদের বিশেষ অংশগ্রহণ ছিল সমগ্র অনুষ্ঠানে। এই অনুষ্ঠান থেকে সকল ভাষাকে সম্মান জানিয়েই বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষা ঘোষণার দাবি তোলা হয়েছে।