Advertisment

কচিকাচারা খেতে বসতেই আত্মারাম খাঁচা, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্না করা খিচুড়িতে ওগুলো কী?

এই ঘটনার পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি বাহারাবাদ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের এক কর্মী সাবিনা ইয়াসমিনের।

IE Bangla Web Desk এবং Rajit Das
New Update
Insects in cooked khichuri of Malda Anganwadi Centre , মালদার চাঁচল থানার চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাহারাবাদ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্না করা খিচুড়িতে কিলবিল করছে পোকা

এই খিচুড়িই খাওয়ানো হচ্ছিল শিশুদের।

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্না করা খিচুড়িতে কিলবিল করছে পোকা। আর সেই খিচুড়ি শিশুদের পাতে দিতেই রীতিমতো হইচই কান্ড চাঁচল থানার চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাহারাবাদ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। পোকা দেওয়া খাবার দেখতে পেয়ে চরম ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে। এই ঘটনার পর অভিভাবক এবং গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে ওই এলাকায় পৌঁছয় চাচোল থানার পুলিশ। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আর এই বাজে খাবার বিলি করার বিষয়টি নিয়ে ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা সংশ্লিষ্ট এলাকার পঞ্চায়েত ও প্রশাসনকে অভিযোগ জানানোর কথা জানিয়েছেন।

Advertisment

যদিও এবিষয়ে বাহারাবাদ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের এক কর্মী সাবিনা ইয়াসমিনের দাবি, রান্না করার সময় কোনরকম পোকা ছিল না। পরে হয়তো অন্য কোনভাবে খাবারে এই পোকা চলে আসতে পারে। এই ঘটনায় তাদের কারোর গাফিলতি নেই। এই ঘটনার পিছনে কোন ষড়যন্ত্র রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিন চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাহারাবাদ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে প্রায় ৫০ জন শিশুর জন্য পুষ্টিকর খাদ্য খিচুড়ি, সবজি রান্না করা হয়েছিল। রান্নার পরেই সেই খাবার শিশুদের পাতে দেওয়ার সময় ঘটে যায় বিপত্তি । খেতে বসে কয়েকজন শিশুর নজরে আসে খিচুড়িতে কিলবিল করছে পোকা। এরপর ওই শিশুরা তাদের অভিভাবকদের কাছে থালা ভর্তি পোকা দেওয়া খিচুড়ি নিয়ে গিয়ে দেখায়। আর তারপর থেকেই অভিভাবকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই ক্ষিপ্ত গ্রামবাসী ও অভিভাবকেরা অঙ্গনওয়াড়ির এক মহিলা কর্মীকে সামনে পেয়ে চরম বিক্ষোভ দেখায়।

বিক্ষোভকারী অভিভাবকদের অভিযোগ, এই অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে যে কোনও মুহূর্তে শিশুদের শারীরিক বিপদ ঘটতে পারে। কীভাবে খিচুড়িতে এরকম পোকা দেওয়া খাবার চলে এলো এবং তা শিশুদের মধ্যে বিলি করা হচ্ছিল সে কোথাও আমরা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম। উল্টে তারা অন্য রকমের অজুহাত দেখাতে শুরু করে।

স্থানীয় গ্রামবাসী আকরাম শেখের অভিযোগ, 'এর আগেও এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাবার বিল নিয়ে বিস্তর অভিযোগ করেছিলাম। এদিন পোকা দেওয়া খিচুড়ি খাওয়ার কিভাবে দেওয়া হলো সেটাই বুঝতে পারছি না। খিচুড়ি দেওয়ার পর থালা ভর্তি পোকা দেখে আমরাও ঘাবড়ে গিয়েছি। এই ঘটনার যারা দোষী রয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।'

মালদা জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুল হাই জানিয়েছেন, ঘটনাটি মারাত্মক। এত বড় ভুল কীভাবে হলো, তা অবশ্যই আমরা ওই অঙ্গনাওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদের কাছে জানতে চাইব। পাশাপাশি পুরো বিষয়টি নিয়েও ব্লক প্রশাসনকে জানানো হবে।

Malda Maldah
Advertisment