অনেকটাই সুর নরম তৃণমূলের। দিল্লি পুলিশের সঙ্গে আর টক্করে যেতে নারাজ মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা। ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা আদায়ে 'দিল্লি চলো'র ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। রামলীলা ময়দানে কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু দিল্লির পুলিশ তাতে অনুমতি দেয়নি। স্বাভিকভাবেই গর্জে উঠেছিল রাজ্যের শাসক দল। তবে গর্জালেও বর্ষায়নি তৃণমূল। উল্টে ওই ২রা অক্টোবরই ঘোষণা করা হল বিকল্প কর্মসূচি।
কী ঘোষণা করল তৃণমূল?
বাংলার বকেয়া আদায়ে গান্ধী জয়ন্তীতে রাজঘাটে প্রার্থনা বসা হবে। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণণূলের সব সাংসদ, বিধায়ক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা ২ অক্টোবর দিল্লির রাজঘাটে প্রার্থনায় বসবেন। ই দিন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ও চাওয়া হয়েছে। রাজঘাটে প্রার্থনা সেরে তৃণমূল নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হাতে ৫০ লক্ষ চিঠি তুলে দেবেন। ১০০ দিনের কাজ করেও রাজ্যের যেসব মানুষ অর্থ পাননি, তাঁদের সাক্ষরিত চিঠিই গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর হাতে দেওয়া হবে।
আগেই বলেছিলেন মমতা
গান্ধীজয়ন্তীতে তাঁকে স্মরণ করে রাজঘাটে প্রার্থনায় বসার বিষয়টি দিন কয়েক আগেই নবান্নে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তৃণমূলের তোপ
২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বিজেপিতে তুলোধনা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মানুষের ১০০ দিনের কাজ সহ নানা খাতে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে 'দিল্লি চলো'র ডাক দিয়েছিলেন। অর্থাৎ বাংলাকে বঞ্চনার বিষয়টি দিল্লির রাজপথ সরগরমের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। রামলীলা ময়দানে ধর্নার পরিকল্পনাও ছিল তৃণমূল নেতৃত্বের। কিন্তু দিল্লি পুলিশ তার অনুমতি দেয়নি। যাকে 'রাজনৈতিক প্রতিহিংসা' বলে তোপ দাগে পশ্চিমবঙ্গের শাসক শিবির।
আরও পড়ুন- ‘সীমা ছাড়িয়েছেন শুভেন্দু’, বাগে আনতে এবার তুখোড় ‘বাণ’ ছুঁড়ল তৃণমূল!