ফের বদলি আইপিএস দময়ন্তী সেন। কলকাতা পুলিশের বিশেষ নগরপাল পদ থেকে এবার তাঁকে বদলি করা হল। তাঁকে পাঠানো হল পুলিশ ট্রেনিংয়ে। এডিজি ট্রেনিং পদে পাঠানো হল দুঁদে আইপিএস অফিসারকে। মঙ্গলবার তাঁর বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগেও তাঁকে কলকাতা পুলিশের পদ থেকে বদলি করা হয়েছিল। সেই বদলি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালে কলকাতা পুলিশে ফেরেন তিনি। চার বছর পর আবার বদলি করা হল তাঁকে।
২০১০ সালে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) পদে চিলেন দময়ন্তী সেন। লালবাজারের ইতিহাসে তিনিই প্রথম মহিলা গোয়েন্দা প্রধান। ২০১২ সালে পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। দ্রুত সেই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাতে চর্চায় উঠে আসে এই আইপিএস অফিসারের নাম।
তদন্তে সাফল্যের পরও তাঁকে সরতে হয়। কয়েক মাসের মধ্যে কলকাতা পুলিশ থেকে ব্যারাকপুরে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে ডিআইজি পদে পাঠানো হয় তাঁকে। তার পর সেখান থেকে দার্জিলিংয়ে ডিআইজি পদে বদলি করা হয় দময়ন্তীকে। এর পর পাঠানো হয় সিআইডি-তে। সেখানেও ডিআইজি পদে কর্মরত ছিলেন। ২০১৯ সালে কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার পদে ফেরত আসেন তিনি।
আরও পড়ুন ‘রোদ উঠেছে বোমা ফেটেছে’, সৌগতর সুরেই সাফাই অর্জুনের, ‘তিতিবিরক্ত’ শোভনদেব অন্য লাইনে!
তবে দময়ন্তীর বদলি ঘিরে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। তাঁর বদলিতে রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখছে বিরোধীরা। কারণ সম্প্রতি কালিয়াগঞ্জ ধর্ষণ মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট যাঁদের উপর তদন্তভার দিয়েছিল তাঁদের মধ্যে অন্যতম দময়ন্তী সেন। এক কিশোরীকে ধর্ষণ খুনের অভিযোগে সম্প্রতি উত্তাল হয় কালিয়াগঞ্জ। সেই মামলায় সিট গঠন করে হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ আদালতের নজরদারিতে সিটকে তদন্তভার দেয়।
সেই বিশেষ তদন্তকারী দলে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত, আইপিএস দময়ন্তী সেন ও প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। বিজেপি-সহ বাম-কংগ্রেসের দাবি, তদন্ত থেকে সরাতেই বদলি করা হল দময়ন্তীকে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, এটা রুটিন বদলি। এর সঙ্গে তদন্তের কোনও যোগ নেই।