খেলার সময় সাইকেলের ভাঙা স্পোক ঢুকে যায় চার বছরের এক শিশুর গলায়। নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও সুরাহা হয়নি। দিন দুয়েক আগে ভর্তি করা হয় নীলরতন সরকার হাসপতালে। আজকে অস্ত্রোপচার করে বার করা হয় সাড়ে তিন ইঞ্চির লোহার জং ধরা ঐ তার।
সুষুম্নাকাণ্ড (স্পাইনাল কর্ড) মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দিন সাতেক আগে দুর্ঘটনাটি ঘটে বর্ধমানের কাটোয়া জেলায়। বন্ধুদের সঙ্গে সাইকেলের ভাঙা চাকার অংশ নিয়ে খেলছিল ছোট্ট শুভজিৎ। তার এক বন্ধু সেই ভাঙা চাকা পরিয়ে দেয় তার গলায়। সেই চাকার একদিকে ছিল একটি স্পোকের তার। চাকাটি ধরে টানতেই সেই ভাঙা স্পোক ঢুকে যায় শুভজিতের গলায়। নিকটবর্তী চিকিৎসালয়ে নিয়ে গেলে, যেটুকু অংশ বাইরে ছিল তা টেনে বের করা হয়। কিন্তু ভিতরে রয়ে যায় সাড়ে তিন ইঞ্চির একটি অংশ। যা গেঁথে গিয়েছিল সুষুম্নাকাণ্ড বা স্পাইনাল কর্ডের গভীরে।
আরও পড়ুন: নীলরতনের চিকিৎসকদের নিঃস্বার্থ চেষ্টায় বাঁচল বৃদ্ধার প্রাণ
ইএনটি বিভাগীয় প্রধান ডাঃ তপনকান্তি হাজরা বলেন, "সাতদিন ধরে যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছিল শুভজিৎ। বেগতিক দেখে পরিবারের লোক তাকে নিয়ে আসেন নীলরতন সরকার হাসপতালে। চিকিৎসকরা সিটি স্ক্যান সহ বাকি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেন, যে অংশে ওই তার গেঁথে আছে সেই অংশ বের করতে গেলে সুষুম্নাকাণ্ডে থাকা তরল পদার্থ বেরিয়ে যেতে পারে। যার ফলে মৃত্যু হতে পারত শুভজিতের।"
শিশুর গলা থেকে বের করা হল তিন ইঞ্চির লোহার তার।
ডাঃ হাজরার নেতৃত্বে ডাক্তার মনোজ মুখার্জী, সিদ্ধার্থ দাস ও অর্পিতা মহান্তির টিম ২৭ নভেম্বর অপারেশন করেন। দু'ঘণ্টার অপারেশনে শিরদাঁড়ার হাড়ের ভিতর থেকে তারটিকে বের করে আনেন। সুষুম্নাকাণ্ড মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিন্তু বর্তমানে শিশুটির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল । কয়েকদিন নীলরতনেই চিকিৎসাধীন থাকবে শুভজিৎ।