গত সপ্তাহে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার অভিযোগ তুলে ১১ জন বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল লালবাজারে। পাল্টা হাইকোর্টে মামলা করেন বিধায়কেরা। সেই মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত-র পর্যবেক্ষণে শোরগোল পড়েছে।
কী বলেছেন বিচারপতি?
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে এ দিন শুনানি হয় জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা বিষয়ক মামলার। শুনানি চলাকালীন বিচারপতির মন্তব্য, 'হঠাৎ করে জাতীয় সঙ্গীত শুরু করা যায় না। এখানে যদি এখন কেউ জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করেন, তা হলে তো সব কাজ বন্ধ করে সবাইকে দাঁড়িয়ে পড়তে হবে। এমনটা করা যায় নাকি! অবশ্যই জাতীয় সঙ্গীতের জন্য একটা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলা উচিত।'
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ- এমন নয় যে, যখন তৃণমূল বিধায়ক, মন্ত্রীরা যখন জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া শুরু করেন, তখনই বিজেপি বিধায়কেরাও স্লোগান দিতে শুরু করেন। তাঁরা বিধানসভায় আগে থেকেই স্লোগান দিচ্ছিলেন। ফলে জাতীয় সঙ্গীতের জন্য নিয়ম মানা দরকার।
কেন বিজেপি বিদায়কদের বিরুদ্ধে অভিযোগ?
গত বুধবার বিধানসভায় আম্বেডকর মূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই একই সময়ে তৃণমূলের বিক্ষোভস্থল থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে বিধানসভার সিঁড়িতে বসে পাল্টা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিজেপি বিধায়কেরা। তুলছিলেন সরকার-বিরোধী স্লোগান। তৃণমূল বিধায়কেরা জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময়েও বিজেপি শিবির থেকে স্লোগান শোনা যাচ্ছিল বলে অভিযোগ। তৃণমূলের তরফে ১২ জন বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে বিধানসভার স্পিকারের কাছে একটি অভিযোগপত্র জমা পড়ে। ওই ১২ জনের তালিকায় বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের নামও ছিল। পরে সেই নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। ফলে ১১ জনকে লালবাজারে তলব করা হয়। এর বিরুদ্ধেই হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে বিজেপি।
কী নির্দেশ আদালতের?
বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর মৌখিক নির্দেশ, 'অবস্থানের মাঝে আগে ঘোষমা না করে কেন হঠাৎ জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হল? বিজেপি বিধায়কদের আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গ্রেফতার করা যাবে না।'