পশ্চিমবঙ্গে ১২ থেকে ১৫টি লোকসভা আসনে প্রার্থী দিতে পারে আইএসএফ। এই সংখ্যা বাড়তেও পারে। শুক্রবার ডানকুনিতে এই দাবি করেছেন রাজ্যের একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।
সর্বভারতীয়স্তরে বিজেপি বিরোধীতায় 'ইন্ডিয়া' জোটে থাকলেও সম্ভবত এ রাজ্যে সেই সমঝোতা কার্যকর হচ্ছে না। তৃণমূলের সঙ্গে জোটে যেতে নারাজ বাম, কংগ্রেস। তবে হয়তো গত দু'টি বিধানসভা নির্বাচনের মত ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটেও আসন সমঝোতা করতে পারে কংগ্রেস ও বামেরা। প্রবণতা অনুসারে এক্ষেত্রে ৪২টির মধ্যে বেশিরভাগ আসনেই প্রার্থী দেবে বাম, কংগ্রেস।
তাহলে কী আইএসএফের পক্ষে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ১২-১৫ আসনে লোকসভায় প্রার্থী দেওয়া সম্ভব? নওশাদের এ দিনের বক্তব্যের পর সেই প্রশ্নই উঠছেই।
এ দিন নওশাদ ইন্ডিয়া জোট নিয়ে বলেছেন, 'এখানে একে অপরের বিরুদ্ধে বলছে ওদিকে সমন্বয় কমিটিতে জোট হচ্ছে বা ইন্ডিয়া জোটে একসঙ্গে কথা বলছে! এই বিষয়টা নিয়ে জনতা খুব বিভ্রান্ত। আমিও নেই এর মধ্যে। বাংলায় যাদের দ্বারা গণতন্ত্র হত্যা হচ্ছে তাদের দ্বারা দেশের গণতন্ত্র রক্ষা করা যায় না।' ভাঙড়ের বিধায়কের দাবি, 'বিজেপি গণতন্ত্রের প্রকাশ্য শত্রু আর তৃণমূল গণতন্ত্রের গোপন শত্রু। আর এই দুই শত্রুকেই আমাদের পরাজিত করতে হবে।'
লোকসভায় কী তাহলে পৃথকভাবে লড়াইয়ের ময়দানে নামছে আইএসএফ? সেনিয়ে এখনও স্পষ্টাস্পষ্টি কিছু বলেননি পীরজাদা নওশাদ। শুধু বলেছেন, 'এখনও ঠিক হয়েছে আমরা ১২ থেকে ১৫টি আসনে প্রার্থী দেব। এবিষয়ে এখনও পার্টির অভ্যন্তরে আলোচনা চলছে। হয়তো প্রার্থী সংখ্যা বাড়তে পারে।' ভাঙড়ের বিধাকের এই মন্তব্য যথেষ্ট ইঙ্গিতবহ।
এ বিষয়ে অবশ্য বাং, কংগ্রেসের তরফে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি।