Chopra lynching: বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে সালিশি সভার নামে যুগলকে প্রকাশ্যে অত্যাচারের ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যে তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে। রবিবার রাতে আটক করা হয়েছে চোপড়ার দাপুটে তৃণমূল নেতা তাজম্মুল হক ওরফে ‘জেসিবি’কে।
উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার হাড়হিম করা ভিডিও ভাইরাল হতেই ফের প্রশ্নের মুখে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা। রাজ্যে যখন নানান জায়গায় একের পর এক গণপিটুনির ঘটনা সামনে আসছে তার মধ্যেই এই ভাইরাল ভিডিওকে কেন্দ্র করে শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেছে সিপিএম, বিজেপি। ঘটনার গুরুত্ব উপলব্ধি করে রবিবার সন্ধ্যাতেই তাকে আটক করা হয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে। এরপর তাকে ইসলামপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ইসলামপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হবে তাকে।
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে এক যুগলকে সালিশি সভায় ডেকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে এলাকারই এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে চোপড়ার লক্ষ্মীপুর গ্রাম। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক যুবক যুবতীকে রাস্তায় ফেলে মারছেন ওই তৃণমূল নেতা। চারিদিক অনেক মানুষ ভিড় করে রয়েছে। কিন্তু কেউ কোন প্রতিবাদ করছেন না বা সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছেন না। মারধরের পর ওই যুবতী অজ্ঞান হওয়ার পর তাকে চুলের মুঠি ধরে টেনে তুলে ফের মারধর করা হয়েছে। এই ঘটনায় শাসক দলের নেতার নাম সামনে আসায় প্রবল অস্বস্তিতে শাসক শিবির।
আরও পড়ুন : < Kolkata Weather Today: ম্যাজিকের মতই বদল আবহাওয়ার! দুপুরেই নামবে রাতেই আঁধার, মুষলধারার বৃষ্টির সঙ্গে মেঘের গর্জন! >
জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ওই তরুণী বিবাহিতা। পাশের গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। সেই খবর জানাজানি হতেই সালিশি সভার আয়োজন করেন গ্রামের কিছু 'মাতব্বর'। সেখানে আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি রাস্তায় ফেলে ব্যাপক মারধর করা হয় যুগলকে। যার নেতৃত্বে ছিলেন 'জেসিবি'। এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই পুলিশ স্বতঃপ্রনোদিত হয়ে মামলা রুজু করে। পুলিশের তরফে ট্যুইট করে জানানো হয়, 'চোপড়ার ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন মহলে ভুল খবর ছড়াতে শুরু করে, পুলিশ ঘটনার পর তড়িঘড়ি পদক্ষেপ নেয়। ইতিমধ্যে ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে'।
এদিকে ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই শাসক দলকে নিশানা করেছেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে ওই ভিডিও পোস্ট করে মমতা সরকারকে নিশানা করেছেন। অপরদিকে বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে ঘটনার ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, "বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনের কালো এক অধ্যায়। 'প্রতিটি গ্রামে একটি করে 'সন্দেশখালি' আছে এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের জন্য আর্শীবাদ নন বরং অভিশাপ। বাংলায় আইনশৃঙ্খলা একেবারেই তলানিতে ঠেকেছে"। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেছেন, "এই ধরণের ঘটনা কোন ভাবে সমর্থন যোগ্য নয়। পুলিশ দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে"।