IT Annual Growth: লাফিয়ে বাড়ছে আইটি সেক্টরের পরিধি। বাংলায় কর্মসংস্থান নিয়ে বিস্তর অভিযোগের মধ্যেই সামনে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা কর্মসংস্থানে জোয়ার আনতে চলেছে। কলকাতায় আইটি সেক্টরের পরিধি বছরে ৭০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি দফতর। এই বৃদ্ধির পিছনে রয়েছে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প। এরমাধ্যমে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এক নয়া সুযোগ তৈরি হতে চলেছে। সংস্থাগুলিকে বিশ্বব্যাপী তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তারের লক্ষ্যেও সাহায্য করছে। এই উদ্দেশ্যে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইনফর্মেশন টেকনোলজি সার্ভিসেস গঠন করা হয়েছে।
রাজ্য সরকার তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাকে সামনের সারিতে নিয়ে আসতে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে। সম্প্রতি অ্যাসোচ্যামের সভায় রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় জানান, শীঘ্রই তারা তথ্যপ্রযুক্তির তিনটি নতুন নীতি আনতে চলেছেন। ড্রোন নীতি, সেমিকন্ডাক্টর নীতি এবং গ্লোবাল ক্যাপাবিলিটি সেন্টার নীতির রূপরেখা তৈরি করে তা প্রকাশ করা হবে। তিনি এই সভায় দাবি করেন, নীতিগুলি সামনে এলে বাংলায় তথ্য প্রযুক্তি খাতে লগ্নির পরিমাণ এক লাফে অনেকটা বাড়বে এবং কর্মসংস্থানও বাড়বে।
টেলিদুনিয়ায় ফের বিপ্লব! jio-এর হাত ধরেই আসছে সস্তার 5G ফোন
গ্লোবাল ক্যাপাবিলিটি সেন্টার নীতির ওপর বেশি জোর দিয়েছেন মন্ত্রী। বহুজাতিক সংস্থাগুলি আউটসোর্সিংয়ের জন্য ব্যাক অফিস তৈরি করে, যা সংস্থার মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করে। এই ব্যাক অফিসগুলিকেই গ্লোবাল ক্যাপাবিলিটি সেন্টার বলা হয় এবং এখানে বিপুল কর্মসংস্থান হয়। নয়া এই নীতি যদি বড় বড় সংস্থাগুলিকে রাজ্যে বিনিয়োগে আগ্রহী করতে পারে তাহলে রাজ্যেও অনেক কর্মসংস্থান হবে। এর জন্য নিউটাউনে প্রায় ২০০ একর জমিতে সিলিকন ভ্যালি তৈরি করছে রাজ্য সরকার। ইনফোসিস, রিলায়্যান্স, ক্যাপজেমিনি, আইটিসি ইনফোটেক, ব্রিটিশ টেলিকমের মতো সংস্থাগুলি সেখানে নির্মাণ কাজ শুরু করেছে।
সম্প্রতি বাংলায় বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়েছে দুই ব্রিটিশ তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। রিপোর্ট অনুযায়ী, রেডক এবং প্রেফারি নামের দুই সংস্থা কলকাতায় বিনিয়োগ করতে চলেছে। এছাড়া বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সেমিকন্ডাক্টর সংস্থা গ্লোবাল ফাউন্ড্রির আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা হয়েছে তথ্য প্রযুক্তি দফতরের।