যেন অগ্নিকুন্ড ঝলসে যাচ্ছে বাংলা। শহর কলকাতায় ভোর থেকেই প্রখর রোদ। বেলা বাড়তেই নাজেহাল গরম। পারদ ৪০ ডিগ্রি পেরোচ্ছে। রাজ্যের দক্ষিণ ও পশ্চিমের জেলাগুলোর অবস্থা তো আরও দুর্বিসহ। কবে হবে বৃষ্টি? আপাতত চাতক অপেক্ষায় বঙ্গ। কিন্তু, আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে আপাতত কোনও সুখবর নেই। উল্টে হাওয়া অফিসের পর্বাভাস ঘিরে আরও অস্বস্তি মাথাচাড় দিয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার জানিয়েছেন, দহন জ্বালা থেকে মুক্তির এখনই বিশেষ কোনও সম্ভাবনা নেই। বাংলায় বর্ষা প্রবেশেও দেরি হবে।
সাধারণত কেরলে বর্ষা প্রবেশ করে ১ জুন নাগাদ। বাংলায় বর্ষা আসে ৮-১০ জুন নাগাদ। কিন্তু এ বছরের পরিস্থিতি ভিন্ন। কলকাতা ও উপকূলীয় জেলাগুলো বাদে অন্যান্য সব জেলাতেই ১০ জুন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে তাপপ্রবাহ চলবে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, 'কেরলে বর্ষা প্রবেশের ইতিমধ্যে ৬দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত তা লাক্ষাদ্বীপের কাছেই আটকে আছে। এদিকে দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরে ঘুর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এই নিম্নচাপ আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টায় গভীর থেকে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। শেষ পর্যন্ত এর হাত ধরেই কেরলে বর্ষা প্রবেশ করতে পারে।'
ভারতের মূল ভূখণ্ড কেরলের পর দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু একেবারে দক্ষিণ ভারত থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতে চলে আসে। উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্য অসম, মেঘালয় হয়ে তা উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করে বর্ষা। সাধারণত জলপাইগুড়িতে ৭ জুন বর্ষা প্রবেশের স্বাভাবিক দিন। এখন রাজ্যে যে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি চলছে তাতে এবার বর্ষা বেশ কয়েক দিন পরে ঢুকবে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অনুকূল পরিস্থিতি না থাকার কারণেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকবে দেরিতে।