যাদবপুর কাণ্ডে স্ক্যানারে 'আলু'র ভূমিকা। পুলিশের তলব পেয়ে মঙ্গলবার রাতে থানায় গিয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের গবেষণারত পড়ুয়া অরিত্র মজুমদার ওরফে 'আলু'। হাসিমুখেই তাঁকে থানা থেকে বেরোতে দেখা গিয়েছিল। ছাত্র মৃত্যু ইস্যুতে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হয়েছিলেন ছাত্র সংগঠন ফ্যাটসু-র নেতা অরিত্র। প্রায় ঘন্টা দু'য়ের ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। এরপর দুপুরে হাসি মুখেই বাইরে বেরিয়ে আসেন 'আলু'। কথা বলেন সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে।
Advertisment
ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পর সমাজ মাধ্যমে অরিত্র মজুমদার ওরফে 'আলু'র নাম ছড়িয়ে যায়। প্রথমে এ নিয়ে তাঁকে টু শব্দ করতে শোনা যায়নি। পরে মঙ্গলবার দীর্ঘ ফেসবুক পোস্ট করেন অরিত্র। নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন তিনি। ঘটনার দিন তিনি হস্টেলে যাননি। যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে তিনি প্রস্তুত বলেও ফেসবুকে লিখেছেন।
এরপরই অরিত্র-কে তলব করে পুলিশ ও ছাত্র মৃত্যু ইস্যুতে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি। বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের পর 'আলু' বলেছেন, 'আমি চাই অবিলম্বে দোষীরা চিহ্নিত হোক, দোষীরা শাস্তি পাক। এই মুহূর্তে তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে। তাই এর বাইরে আমার কিছু বলার নেই।'
এসএফআই, এআইএসএ, এআইডিএসও, ডিএসএফের মতো বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলি এই অরিত্র মজুমদার বা 'আলু' বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে। তাদের দাবি, ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার দু'দিন পর অর্থাৎ ১১ অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারের অরিত্রর সই রয়েছে। কিন্তু অরিত্রর করা ফেসবুক পোস্টের দাবি অনুযায়ী সেই সময় এই ছাত্র নেতা শহরের বাইরে ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে কলেজে রেজিস্টারে তাহলে কে সই করল?
ছাত্র মৃত্যুর তদন্তে এই পরস্পর বিরোধী বিষয়গুলোকেই খতিয়ে দেখতে চাইছে পুলিশ ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির সদস্যরা। সূত্রে খবর, এদিনের জিজ্ঞাসাবাদে কমিটি অরিত্রকে তাঁর উড়ানের বোর্ডিং পাস জমা রাখতে বলেছে।