শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের পতাকা-পোস্টার ছিঁড়ে তাতে জল ঢেলে দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগে উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ঘেরাও করা হয়েছে উপাচার্যকে।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাতে। অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পতাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টাঙানো ছিল। সেই পতাকা খুলে নিয়ে, তা ছিঁড়ে দেওয়া হয়। সংগঠনের অভিযোগের এখানেই শেষ নয়। টিএমসিপি-র অভিযোগ, পতাকার ওপর মূত্রত্যাগও করা হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, নিরাপত্তাকর্মীদের চোখের সামনেই এ ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা, ও অরাজকতা-মুক্ত করার দাবিতে সোমবার ঘেরাও শুরু হয়। স্লোগান উঠেছে, "যাদবপুরের সরকার, আর নেই দরকার"।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে মেবার হোসেন জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তাঁরা নির্দিষ্ট কাউকে দায়ী করছেন না। তাঁদের দাবি, যেহেতু যেখানে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে সিসিটিভি ছিল, ফলে ফুটেজ দেখে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। একই সঙ্গে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘেরাও করা হয়নি ভিসি-কে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য সমর্থকরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন।
রাজ্যের প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রমরমা হলেও, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তেমন দাঁত ফোটাতে পারেনি তারা। এরই মধ্যে সদ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কনক সরকারকে নিয়ে তোলপাড় হয়েছে। সে তোলপাড় রাজ্য ছাড়িয়ে পৌঁছেছে জাতীয় স্তরেও।
ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনসের অধ্যাপক কনক সরকার মেয়েদের কৌমার্যকে সিল করা বোতলের সঙ্গে তুলনা করে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। সে নিয়ে সরব হয়েছিলেন প্রায় সকলে। এ ঘটনার জেরে তাঁর আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের একাংশের দাবি, কনক সরকার তৃণমূল কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে এ অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি।