যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ধৃত ৬ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে এবার কঠোর পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের। বৈঠকে বসেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল। কাউন্সিলের সদস্যরাই বৈঠকে বসে ওই ৬ ছাত্রের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে ছাত্র মৃত্যুতে ধৃত দীপশেখর দত্ত, মনোতোষ ঘোষ, মহম্মদ আসিফ আফজল আনসারি, অঙ্কন সরকার, সত্যব্রত রায় এবং মহম্মদ আরিফের বিরুদ্ধে।
Advertisment
ওই ৬ ছাত্রের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ?
যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুতে ধৃত দীপশেখর দত্ত, মনোতোষ ঘোষ, মহম্মদ আসিফ আফজল আনসারি, অঙ্কন সরকার, সত্যব্রত রায় এবং মহম্মদ আরিফদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত জারি রয়েছে। তাঁরা এখনও বন্দি রয়েছেন। তবে এবার জামিন পেলেও তাঁদের জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা আপাতত বন্ধই থাকছে। ওই ৬ ছাত্র আপাতত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস কিংবা হোস্টেলেও ঢুকতে পারবেন না। ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ওই ৬ ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে পারবেন না। এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল বৈঠকে বসে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের অগষ্টে যাদবপুরে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় নদিয়ার হাঁসখালির ওই কৃতী ছাত্রের। প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুতে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রের বিরুদ্ধে ওঠে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় পড়ে যায়। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সুর চড়ায় বিভিন্ন মহল।
যাদবপুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোরও তুঙ্গে ওঠে। রীতিমতো যেন কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়ে যায় শাসক-বিরোধীদের মধ্যে। বামেদের 'আঁতুড়ঘর' যাদবপুর অনিয়মের 'আখড়া', গর্জে ওঠে শাসকদল তৃণমূল। খানিকটা এক সুরেই স্বর চড়া করে বিজেপিও। পাল্টা জোড়াফুল-বিজেপিকে তুলোধনা করে সোচ্চার হতে দেখা যায় বামেদেরও।