/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/08/digha-jagannath-templr-ram-mandir-ayodhya.jpg)
অধ্যোধ্যার রাম মন্দির ও দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রাস্তাবিদ রূপ।
পুরীর আদলে দিঘায় গড়ে উঠছে জগন্নাথ মন্দির। জোরকদমে চলছে কাজ। তদারকি করছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। কবে খুলবে দিঘার জগন্নাথ মন্দির? কৌতুহল রয়েছে মানুষের মনে। বৃহস্পতিবার একই প্রশ্ন বিধানসভায় তুলে ধরেন ডেবরার বিধায়ক তথা প্রাক্তন আইপিএস হুমায়ুন কবীর। বুধবার তারই জবাব দিয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানান যে, এ বছরের শেষে কিংবা আগামী বছরের শুরুতে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দরজা সাধারণের দর্শনের জন্য খুলে যাবে।
এদিকে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে অযোধ্যার রাম মন্দিরের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। গত ২২ মে রাম মন্দিরের অছি পরিষদের চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র জানিয়েছিলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ সালের মধ্যেই প্রথম দফার কাজ শেষ হয়ে যাবে। কারণ, তাঁরা চাইছেন নতুন বছর অর্থাৎ ২০২৪ সাল থেকেই রাম মন্দিরের দরজা সাধারণ মানুষের পুজো দেওয়ার জন্য খুলে দিতে।
অর্থাৎ সব ঠিক থাকলে প্রায় একই সময়ই অযোধ্যায় রাম মন্দির ও দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের দরজা খুলতে পারে। কেন্দ্রের বিজেপি এবং বাংলার তৃণমূল সরকারের এই সিদ্ধান্ত কী শুধুই কাকতালীয়? নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে গভীর পরিকল্পনা? এই নিয়েই জোর চর্চা রাজনীতির কারবারিদের মধ্যে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণকে এবার লোকসভার আগে কেন্দ্রে শাসক দল বিজেপি বড় সাফল্য হিসাবে তুলে ধরতে আগ্রহী। পুজোর পর এ রাজ্যে রাম-যাত্রা শুরু করার ব্যাপারে ইতিমধ্যে দিল্লিতে বৈঠক করেছে সঙ্ঘ পরিবারের নেতারা। তাতে হাজির ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা। শক্তি প্রদর্শনে সেই যাত্রায় প্রায় ১ কোটি মানুষকে জোড়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে খবর। বিজেপি ও সঙ্ঘের সেই মেরুকরণের রাজনীতির মোকাবিলা করতেই দিঘায় জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের কাজ দ্রুত শেষ করতে মরিয়া তৃণমূল সরকার।
দিঘায় জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের জন্য রাজ্য সরকার ১৪৩ কোটি টাকা খরচ করছে। এই মন্দির নির্মাণের জন্য সাধারণের থেকে কোনও অর্থ সাহায্য, চাঁদা বা অনুদান নেওয়া হয়নি।