/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/06/dhankhar-tmc.jpg)
রাজ্যপালের কাছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।
সারদা ও নারকাণ্ডে শুভেন্দু অধিকারীর নাম রয়েছে। কিন্তু, বিজেপিতে থাকায়তাঁর প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে সিবিআই, ইডি। অভিযোগ তৃণমূলের। বিরোধী দলনেতাকে গ্রেফতারের দাবি নিয়ে মঙ্গলবার রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছিল জোড়-ফুলের আট সদস্যের প্রতিনিধি দল। দীর্ঘক্ষণ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কাছে দাবি-দাওয়া পেশ করেন তাঁরা। আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে বলে দাবি করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারাণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যপাল সমস্যা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানান ব্রাত্যবাবু।
এর কয়েক মিনিট পর পরই টুইটবার্তায় রাজ্যকে নিশানা করেন রাজ্যপাল ধনকড়। শাসকের আইনের বদলে বাংলায় সংবিধান মেনে আইনের শাসন কার্যকর করার পরামর্শ দেন ধনকড়। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে রাজ্য থেকে সিন্ডিকেট, মাফিয়ারাজ কমানোরও কথা বলেছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। এছাড়া, মুখ্যমন্ত্রীকেও সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। ভুক্তোভুগিদের কষ্ট লাঘবে তুষ্টিকরণ ও সাম্প্রদায়িকতা বন্ধেরও কথা বলা হয়েছে।
Guv urged the delegation @AITCofficial-Ensure Govt. acts according to Law & not Law of Ruler;
-Curb Syndicate & Mafia that as per High Court is in every nook & corner of state;
-Stop appeasement & communalization in victim relief;
-Ensure CM performs her constitutional duty. pic.twitter.com/pW0SZp74Nu— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) June 28, 2022
ফলে ফের একবার রাজভবন-নবান্ন দ্বৈরথ প্রকাশ্যে এলো।
এ দিন রাজভবন থেকে বেরিয়ে কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'রাজ্যপালের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে। আমরা আমাদের কথা তাঁকে জানিয়েছি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে। একই মামলায় তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, অথচ বিজেপিতে থাকলেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়টি রাজ্যপালের নজরে এনেছি। তিনি শুনে তাঁর মতামত দিয়েছেন, আমরাও কী মনে করছি ওনাকে জানিয়েছি। আমরা এখানে আসায় উনি খুশি। আমাদের দল এবং সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যপালের সঙ্গে এই আলোচনা জারি থাকবে।'
আরও পড়ুন-‘রাজ্যকে চাকরি দিতে বলবে, ওদের পাপ আমরা নেব কেন?’ অগ্নিবীর নিয়ে মমতার নিশানায় কেন্দ্র
ব্রাত্য বসুর কথায়, 'রাজ্যপাল আমাদের বক্তব্য শুনেছেন। তাঁর নিজের মতামত জানিয়েছেন। ভালভাবেই কথাবার্তা হয়েছে আমাদের। আশা করি, যে বিশেষ ইস্যুতে আমাদের প্রতিবাদ, তা গুরুত্ব দিয়ে উনি বিবেচনা করবেন।'
এরপরই মমতা সরকারকে নিশানা করে জগদীপ ধনকড়ের টুইট বিতর্কে নয়া মাত্রা যোগ করল।