Advertisment

এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপের প্রশ্নে ফের নবান্নকে তোপ ধনকড়ের

রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ইস্তফা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে ফের রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।

'এক্তিয়ারের সীমা লংঘন করছে নবান্ন'। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ইস্তফা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে ফের রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। মমতা সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে ধনকড়ের মন্তব্য, 'রাজ্য ও রাজভবনের একে অন্যের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়'।

Advertisment

রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য ডঃ সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী বসন্ত উৎসবে অশ্লীলতাকাণ্ডের নৈতিক দায় নিয়ে গত শুক্রবার পদত্যাগ করেন। রাজ্যপাল, শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা সচিবের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান তিনি। কেন উপাচার্য পদত্যাগ করবেন? এই প্রশ্নে তোলপাড় হয় শিক্ষামহল। শুরু থেকেই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন 'আলোচনা না করে উপাচার্যের ইস্তফা গ্রহণ করা হবে না'। ওই দিনই বিকেলে পার্থবাবু স্পষ্ট করে ঘোষণা করে দেন যে, 'উপাচার্যের ইস্তফা গৃহীত হয়নি।' পরে ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করেন ডঃ সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী।

আরও পড়ুন: রবীন্দ্রভারতীতে অশ্লীলতা: ‘উপাচার্যের ইস্তফা গৃহীত নয়’

ইস্তফা গ্রহণ বা ফিরিয়ে দেওয়া শিক্ষামন্ত্রীর এক্তিয়ারভুক্ত নয় বলে রবিবার দাবি করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। উপাচার্যের ইস্তফা তাঁর কাছে পৌঁছায়নি বলেও জানান তিনি। এপ্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, ''বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য ইস্তফা দিলে তা দিতে হবে আচার্য অর্থাত্‍রাজ্যপালের কাছে। কিন্তু তা ঘটেনি। এটা রাজ্যপালের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ।' তাঁর কথায়, 'কোনওভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ইস্তফা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। এটা তাঁর কাজের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ্ত। রাজ্য ও রাজভবনের একে অন্যের পরিধিতে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।'

আরও পড়ুন: রবীন্দ্রভারতী, রোদ্দুর রায় ও ইন্টারনেটের খাপ বিশেষজ্ঞরা

উপাচার্যের ইস্তফা ইস্যুতে রাজ্যপালের মন্তব্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, 'শিক্ষামন্ত্রীর যা করণীয় তাই করেছেন। রাজ্যপাল শুধু সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে মন্তব্যই করতে পারেন। কে কী করছেন তা মানপষ দেখছেন'।

মুখ্যমন্ত্রী থেকে শিক্ষামন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, রাজ্য প্রশানের শীর্ষ আমলারা সম্প্রতি নানা বিষয়ে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। তীক্ততা ভুলে রাজভবন ও রাজ্য সরকারের একযোগে কাজের কথা বলেছিলেন ধনকড়। শুরু হয়েছিল সৌজন্যের বাতাবরণ। কিন্তু, সময় এগোতেই তাতে কার্যত তাতে ইতি। পুরভোটে শান্তি-শৃঙ্খলা ইস্যু থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করে রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জানিয়েছেন রাজ্যপাল। সেই তালিকায় নয়া সংযোজন রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্যের ইস্তফা বিতর্ক।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

West Bengal
Advertisment