প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে তাঁর পাম এ্যাভিনিউয়ের বাড়ি গিয়ে সাক্ষাৎ করলেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ বুদ্ধবাবু। অষ্টমীর সন্ধ্যায় তাই তাঁর বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নিয়েছেন রাজ্যপাল। এঠাড়াও চাঁদের মধ্যে রাজ্যের হাল-হকিকত নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধনকড়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার আরোগ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন রাজ্যপাল।
টুইটে রাজ্যপাল জগদীপর ধনকড় জানিয়েছেন, ‘শ্রীমতী সুদেশ ধনখড়ের সঙ্গে আজ প্রবীণ কমিউনিস্ট নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও তাঁর স্ত্রী মীরাদেবীর সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁদের অষ্টমীর শুভেচ্ছা-সহ আরোগ্য কামনা করেছি।’ পোস্টের বুদ্ধবাবুর সঙ্গে সস্ত্রীক তাঁর সাক্ষাতের ছবিও দিয়েছেন রাজ্যপাল। সেখানে দেখা যাচ্ছে শয্যাশায়ী বুদ্ধবাবুর নাকে লাগানো রয়েছে অক্সিজেনের নল। বিছানার একপ্রান্তে আলমারির উপর রয়েছে বই। দেওয়ালে একপাসে ঝিলছে কমিউনিস্ট পার্টির ১০০ বছর উপলক্ষ্যে প্রকাশিত বিশেষ ক্যালেন্ডার। সামনে রয়েছে একটি টেবিল।
এদিন পাম এ্যাভিনিউয়ে সস্ত্রীক রাজ্যপালকে স্বাগত জানান বুদ্ধ জায়া মীরা ভট্টাচার্য। পরে রাজ্যপাল জানান, বুদ্ধবাবুর, শরীরিক অবস্থায় প্রায়ই খোঁজ নেন তিনি সপ্তমীর দিন মীরাদেবীর সঙ্গে কথা বলার পরই তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত নেন। বলেন, '‘বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য একজন প্রকৃত সজ্জন ব্যক্তি। তাঁর অগাধ অভিজ্ঞতা। রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাঁর আরোগ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।' কমিউনিস্ট বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে 'লিভিং স্টেসম্যান' বলেও সম্বোধন করেন ধনকড়।
উল্লেখ্য, ৭৬ বছর বয়সী বুদ্ধবাবু দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ। অসুস্থতার জন্য দলের পলিটব্যুরোর সদস্যপদ ছাড়েন তিনি। বর্তমানে দলের রাজ্য সদর দফতরেও যেতে পারেন না তিনি। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে সিপিএমের ব্রিগেড সমাবেশে নাকে নল লাগিয়েই মঞ্চ পর্যন্ত গাড়ি করে পৌঁছেলেও মঞ্চে উঠতে পারেননি তিনি।
তবে এই প্রথম নয়, ২০১৯-য়ের ২৮ অগাস্ট বুদ্ধবাবুর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়ি গিয়েছিলেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল। প্রকাশ্যে এসেছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছবি। সেই ছবিতে বিছানার ওপর বসে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল বুদ্ধবাবুকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন