এবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল কোটি কোটি টাকা। বুধবার দিনভর মুর্শিদাবাদে জাকির হোসেনের বিড়ি, তেলকল সহ নানা ব্যবসায়িক দফতর, কারখানা ও গুদাম মিলিয়ে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, সেই তল্লাশিতেই উদ্ধার হয়েছে মোট নগদ ১১ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিড়ির দফতর থেকেই ৯ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
আয়কর দফতরের আধিকারিকদের দাবি, বাজেয়াপ্ত ৯ কোটি টাকা জাকির হোসেনের দফতরে একটি কার্টনের মধ্যে লুকিয়ে রাখা ছিল। কেন বিপুল পরিমান এই অর্থ দফতর ও গুদামে রাখা হয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের অবশ্য দাবি, ওই টাকা কোনও মতেই বেআইনি নয়। আয়করের নথি দেখলেই তা স্পষ্ট হবে।
আরও পড়ুন- ‘কুকুরও চাটবে না’, স্বামীজির ভিটেতে দাঁড়িয়ে নজিরবিহীন কটাক্ষ শুভেন্দুর
বিধায়ক জাকির হোসেনকে কয়েকদিন আগে আয়কর দফতর থেকে নোটিস দিয়ে তাঁর চালকল, তেলকল ও বিড়ি কারখানার খতিয়ান জানতে হয়েছিল। তারপরেই বুধবার মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জে জাকির হোসেনের ব্যবসায়ীক দফতর, কারখানা ও গুদামে বুধবার আচমকাই হানা দেয় আয়কর দফতর। গোবিন্দপুরে বিড়ির কারখানায় প্রথমে চলে তল্লাশি অভিযান। পরে অন্যান্য বিড়ির কারখানা সহ জাকির হোসেনের চালকল,তেলকল ও বাড়িতেও চলে অভিযান। সেই সময় পুরো এলাকা বিএসএফ ঘিরে রেখেছিল। জাকির হোসেনের কলকাতা ও দিল্লির দফতরেও তল্লাশি চলেছে বলে সূত্রের খবর।
এই তল্লাশিকে অবশ্য কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। গোটাটাই তৃণণূলের মন্ত্রী, নেতাদের সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্যোগ বলে দাবি করেছেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, 'মোদীজি কালো টাকা দূর করতে উদ্যোগ নিয়েছেন। আর এখানে তৃণমূলের সব নেতা মন্ত্রীদের বাড়ি থেকে কোটি কোটি উদ্ধার হচ্ছে। মানুষ সব দেখছে।' সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'দুর্নীতি মানেই তৃণমূল। একটা লুঠেরার দলে পরিণত হয়েছে তৃণমূল দলটা।'