সিএএ-এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভে রক্ত ঝরল বাংলায়। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক বৃদ্ধ ও এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি। এ ঘটনায় জখম হয়েছেন আরও ৩ জন। জখমদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, সকাল ৯টায় সাহেবনগর এলাকায় সিএএ ও এনআরসির বিরোধিতায় পথ অবরোধ শুরু হয়। সেখানেই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে গুলি চলে বলে অভিযোগ। বেশ কিছু গাড়িতে ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। আক্রান্তদের একাংশের অভিযোগ, জলঙ্গি উত্তর চক্রের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তাহেরউদ্দিন মণ্ডলের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছে। এই অভিযোগ অস্বীকার করে শাসকদলের পাল্টা দাবি, কংগ্রেস ও বিজেপিই হামলা চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘মমতাদি মুকুলদাকে বলেছিলেন, দ্যাখো ও কথা শুনছে না’
এ ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক আব্দুর রেজ্জাক বলেন, ‘‘তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা ’’। অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী করেছে। সকলেই একথা জানেন। মমতা নিজেও জানেন। কংগ্রেসকে দুর্বল করাই কাজ ওদের। পুলিশেরর সামনেই সব হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কেন নীরব? শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছিল। কেন এমনটা করা হল? মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ আছে, বনধ চলবে না। কয়েকদিন আগেও বনধে হামলা হয়েছে। মমতার ইচ্ছেকে মর্যাদা গিতে গিয়েই ওখানকার তৃণমূলের নেতারা এটা করেছেন। প্রতিবাদকারীদের উপর হামলা করার অধিকার কে দিয়েছে? গুলি চালানোর অধিকার কে দিয়েছে?’’
প্রসঙ্গত, সিএএ পাস হওয়ার পরই দেশের অন্যান্য প্রান্তের মতো এ রাজ্যেও বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়। সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে। সে সময় প্রচুর সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে।