ধর্ষণ নয়, যৌনসম্পর্ক স্থাপনের পর খুন করা হয়েছিল জলপাইগুড়ির কলেজ ছাত্রী মাম্পি কার্জিকে। পুলিশি জেরায় এ কথা কবুল করেছে খোদ অভিযুক্ত।
বুধবার রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর এলাকারই সুমিত মাতব্বরের সঙ্গে দেখা করে মাম্পি। সুমিতের সঙ্গে গত চার বছর ধরে সম্পর্ক ছিল তার। পুলিশের কাছে দাবি করেছে সে।
আরও পড়ুন, অর্ধনগ্ন গলায় ফাঁস দেওয়া মৃতদেহ উদ্ধার, জলপাইগুড়িতে তরুণীমৃত্যুতে চাঞ্চল্য
মাম্পি খুনের ঘটনায় পুলিশ গতকালই গ্রেফতার করে সুমিতকে। সুমিতের কাছ থেকে উঠে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। তার দাবি, চার বছরের সম্পর্কে টানা পোড়েন শুরু হয় গত কিছুদিন যাবৎ। তারপরেও যোগাযোগ ছিল দুজনের মধ্যে। সেদিন রাতে সুমিতের ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় মাম্পি। তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয় সে রাতে। ধৃত সুমিত জানিয়েছে, শারীরিক মিলনের পরেই মাম্পিকে খুন করে সুমিত।
বৃহস্পতিবার ভোরে বাড়ির কাছের এক বাঁশ ঝাড় থেকে মাম্পি কার্জি নামের কলেজছাত্রী এক তরুণীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। মৃতার দু হাত বাঁধা ছিল, গলায় দেওয়া ছিল গামছার ফাঁস।
মাম্পির মা সীমা কার্জি জানিয়েছিলেন, ফোন করে ডেকে নেওয়া হয়েছিল তাঁর মেয়েকে। ময়নাগুড়ির ভোটপট্টির বাসিন্দা এই কলেজছাত্রীর খুনের ঘটনায় দোষীর শাস্তি চেয়ে মৃতার পরিবার যেমন সোচ্চার হয়েছেন, তেমনই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি তুলেছেন এলাকাবাসীরাও।