চা বাগানের ম্যানেজারকে কেটে ফেলার হুমকি দেওয়া হলো। মিটিং-এর পর সমাধান না মেলায় বন্ধ হয়ে গেল জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে চেউলিবাড়ি চা বাগান। আপাতত কর্মহীন ৪০০ জন শ্রমিক।
পাশাপাশি, প্রুনিং বা ছাঁটাই করার মেশিন দিয়ে ম্যানেজারকে কেটে ফেলার হুমকির অভিযোগ উঠলো সিটু প্রভাবিত চা বাগিচা মজদুর ইউনিয়নের নেতা অনুকূল বর্মণের বিরুদ্ধে, যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই নেতা।
আপাতত কর্মহীন ৪০০ শ্রমিক
ডিসেম্বর মাস থেকে চা বাগানের 'লিন পিরিয়ড' বা অপেক্ষাকৃত কম কর্মব্যস্ত সময় শুরু হয়। এই সময় আর চা পাতা তোলা হয় না। উলটে চা গাছ ছেঁটে ফেলা সহ গাছ পরিচর্যার কাজ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ময়নাগুড়ির চা বাগানে নজিরবিহীনভাবে চা-কমলার যৌথ চাষ
এই প্রেক্ষিতেই অনুকূল বর্মণের বক্তব্য, "বাগান কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বলা হয়, শ্রমিক পিছু প্রতিদিন ২৫০০ টি করে গাছ ছাঁটতে হবে বা আট ঘন্টা কাজ করতে হবে। আমি তখন বলি শ্রমিকদের ওপর বেশি চাপ দেবেন না, তাহলে এরা উল্টোপালটা কেটে ফেলবে। এটাকেই এরা ধরে নেয় যে আমি বলেছি ম্যানেজারকে কেটে ফেলবো। আমাকে সাস্পেন্ড করে।"
সিটু নেতা খগেন্দ্রনাথ রায় জানান, "আমরা অনুকূলের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবী নিয়ে দফায় দফায় মিটিং করি। গতকাল বিকেলে ফের মিটিং-এর কথা ছিল। এরা আর মিটিং না করে বাগান বন্ধই করে দিলো। তবে আমাদের আন্দোলন চলবে।"
বাগান মালিক কৃষ্ণকুমার কল্যাণী জানান, "হাজিরা নিয়ে গণ্ডগোল শুরু হয়। এরা অন্য শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করে দেয়। বাগানে অস্থির অবস্থা তৈরী করে। শেড গার্ডেনের হাজিরা প্রজেক্ট গার্ডেনে দেওয়া হয় না। আমার ম্যানেজারকে প্রুনিং মেশিন দিয়ে কেটে ফেলবে বলেছে। বাম জমানার অভ্যাস এদের এখনও যায়নি। আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। আজ থেকে বাগান বন্ধ করে দিলম।"