জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে শববাহী গাড়ি না পেয়ে মহিার মৃতদেহ কাঁধে হাঁটছেন স্বামী ও ছেলে। কয়েক সপ্তাহ আগের সেই মর্মান্তিক দৃশ্য নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা রাজ্য়কে। নিমেষে টাটকা করেছিল ওড়িশার কালাহান্ডির স্মৃতি। সেই ঘটনাতেই এবার নয়া মোড়। হাসপাতাল থেকে ক্রান্তি এলাকায় মৃতার বাড়ি পর্যন্ত দেহ বহনের জন্য অ্য়াম্বুলেন্সদানকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদককে গ্রেফতার করল কোতয়ালি থানার পুলিশ।
বুধবার পুলিশ গ্রেফতার করে গ্রিন জলপাইগুড়ি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সম্পাদক অঙ্কুর দাসকে। পাশাপাশি, সংবাদ মাধ্যমের বেশ কয়েকজন কর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ক্রান্তির বাসিন্দা মৃত লক্ষ্মীরাণী দেওয়ানের মৃতদেহ তার পুত্র রামপ্রসাদ দেওয়ান ও স্বামী জয়কৃষ্ণ দেওয়ান কাঁধে নিয়ে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছিলেন। অভিযোগ উঠেছিল অ্যাম্বুলেন্স অতিরিক্ত ভাড়া দেওয়ার মতো সামর্থ্য ছিল না তাঁদের। হাসপাতাল থেকে কিছুদুর যাবার পরই অবশ্য একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দেওয়ান পরিবারকে অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে সহায়তা করে। এর মূল উদ্যোগী ছিলেন গ্রিন জলপাইগুড়ি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সম্পাদক অঙ্কুর দাস। এরপরই সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সম্পাদক অঙ্কুর দাসের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালক সংগঠন। তাদের অভিযোগ, গোটা ঘটনা সাজানো এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত। সরকারকে বদনাম করতে মৃতের পরিবারকে ব্যবহার করে গোটা ঘটনা সাজিয়ে ছিলেন অঙ্কুর। হাসপাতাল থেকে তিনশো মিটার দূরে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে দাড়িয়ে ছিলেন তিনি। সামান্য এই পথ মৃতদেহ ঘাড়ে করে নিয়ে যেতে বাধ্য করেন তিনি। যা ভাইরাল হয়।
শবদেহকাণ্ডের খবর প্রকাশ্যে আসতেই পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি তৈরি করেছিল জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এদিন সেই তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়েছে। সূত্রের খবর, পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে হাসপাতালে তিন নিরাপত্তা রক্ষীর কর্তব্যে গাফিলতি খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা।