Jamaisasthi ilish: আজ জামাইষষ্ঠী! বাঙালির কাছে জামাইষষ্ঠী বলতেই মনে পড়ে শ্বশুরবাড়িতে জামাইদের পেটপুরে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। সেই রসনাতৃপ্তিতে পদ্মার রুপোলি ফসলের বিকল্প কিছু নেই। বিশেষ এই দিনে শাশুড়ি মায়েদের রান্নার তালিকায় থাকে সর্ষে ইলিশ, ইলিশ ভাপা, ইলিশ পাতুরির মতো রকমারি পদ। তবে এবছর এই ভোজে বাধ সেধেছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ভারতের স্থলপথে বাণিজ্য নিয়ে বিধিনিষেধ চিন্তায় ফেলেছে জামাইদের।
মাছ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ' ষষ্ঠীর দিন বাজারে অন্যান্য মাছের তুলনায় ইলিশের চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। কিন্তু এবছর পদ্মার কাঁচা ইলিশের জোগান নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দিনহাটা চওড়াহাট বাজারের এক মাছ ব্যবসায়ীর কথায়, ‘গত বছর জামাইষষ্ঠীতে বাংলাদেশের ইলিশের চাহিদা ছিল ব্যাপক। দেড় কেজি ওজনের ইলিশগুলি ২০০০ থেকে ২২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। যদিও বর্তমানে চওড়াহাট বাজারে বম্বে, গুজরাট, বার্মা, কোলাঘাট ও দিঘার ইলিশের জোগান রয়েছে।’
শহরের বাসিন্দা দীপঙ্কর দত্ত বলেন, ‘বার্মার ইলিশ সুস্বাদু হলেও পদ্মার ইলিশের বিকল্প নেই।’ স্থানীয় বাসিন্দা প্রত্যুষা সরকারের কথায়, ‘জামাইষষ্ঠী একপ্রকারের ইলিশ উৎসব। ইলিশ ছাড়া জামাইয়ের পাত খালি লাগে। তবে বাংলাদেশের ইলিশ না মিললেও ইলিশের পদ পাতে থাকবে।’ চওড়াহাট বাজারের আরেক মাছ ব্যবসায়ী ইন্দ্রজিৎ ঘোষ জানান, এই পরিস্থিতিতে পদ্মার কাঁচা ইলিশ পাওয়া সংশয়ের। সেক্ষেত্রে স্টোরের ইলিশ ভরসা। বার্মার ইলিশ কিছুটা ঘাটতি মেটাবে। এই ইলিশ কেজি প্রতি হাজার থেকে বারোশো টাকা দরে বিক্রি হয়। তবে গুজরাটের ইলিশের সাইজ খানিকটা ছোট হওয়ায় চাহিদা কিছুটা কম থাকে।