ফের তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদরে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগ করা হল জহর সরকারকে। জোড়া-ফুল সূত্রের খবর, তৃণমূলের ১৩ জন রাজ্যসভার সাংসদদের নিয়ে যে নতুন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি হয়েছে, সেখানেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে জহর সরকারকে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, শনিবার সকালেই জহরকে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। যা প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। দুর্নীতি ইস্যুতে দল বিরোধী মন্তব্যের জেরে প্রাক্তন আমলা তথা তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যে বেকায়দায় পড়েছিল ঘাস-ফুল শিবির। ফোঁস করে ওঠেন তৃণমূলের অন্যান্য সাংসদ, বিধায়করা। জহরকে দল থেকে সাসপেন্ডের দাবি ওঠে। তাঁর পদত্যাগেরও দাবি ওঠে। ফলে দলীয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে জহর সরকারের অপসারণ আদতে তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের কড়া পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছিল।
জল্পনা চলেছিল যে, সাংসদ সুখেন্দশেখর রায় জহর সরকারের সঙ্গে কথা বলে দলীয় অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন। এরপর শুক্রবার রাতে দলের রাজ্যসভার সাংসদের হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপটি বন্ধ করা হয়েছিল। এবং এ দিন সকালে জহর সরকারকে সেখান থেকে ডিলিট করে দেওয়া হয়।
এই খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পেতেই রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা শুরু হয়। জহর সরকার কী সাংসদ পদ ছাড়বেন তা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে ওঠে। এইসবের মধ্যেই জহর ইস্যুতে তৃণমূলের একাংশ জানিয়েছে যে, রাজ্যসভার ১৩ জন সাংসদকে নিয়ে নতুন একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। পুরনোটি বাতিল করা হয়। তার জেরেই জগর সরকারকে পুরনো গ্রুপ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। নয়া গ্রুপটি তৈরি হলে ফের তাঁকে সেখানে যোগ করা হয়েছে।
তবে, দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বাদ পড়া বা ফের অন্তর্ভুক্ত হওয়া নিয়ে জহর সরকারের কোনও বক্তব্য মেলেনি। যদিও বিতর্ক থামছে না। তাই প্রশ্ন, তাহলে কী দলকে অস্বস্তি ফেলা মন্তব্য করাতেই দলীয় সাংসদের উপর চাপ তৈরি করল তৃণণূল কংগ্রেস?