ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে নয়া মোড়। রহস্যমৃত্যু খুনের প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণব ওরফে সেফালের। তপনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সেফালের ঝুলন্ত দেহ বুধবার সকালে তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়। তপনকে খুনের সময় তাঁর সঙ্গেই ছিলেন সেফাল। খুনের একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন তিনি। সেফালের মৃতদেহের কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, কোনও চাপের মুখে নয়, মানসিক অবসাদ থেকে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় নতুন মোড় নিয়েছে তপন কান্দু হত্যাকাণ্ড।
ইতিমধ্যেই কংগ্রেস কাউন্সিলরের হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি, গতকাল ঝালদা পুরবোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল। নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থনে বোর্ড গঠন করেছেন তৃণমূল। এর জেরে গতকাল ধুন্ধুমার পরিস্থিতি হয় ঝালদায়। প্রতিবাদে আজ, বউদবার ১২ ঘণ্টার ঝালদা বনধ ডেকেছে কংগ্রেস। তার মধ্যে আজই ঝালদায় আসার কথা সিবিআই টিমের। তার আগে একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শীর আত্মহত্যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গিয়েছে, তপন কান্দু খুনের তদন্তে সিট গঠনের পর পুলিশ বেশ কয়েকবার সেফালকে জেরা করার জন্য ডেকে পাঠায়। এদিন সেফালের দেহের কাছ থেকে পাওয়া সুইসাইড নোটে সে কথা উল্লেখ রয়েছে। লেখা রয়েছে, "যেদিন থেকে তপনের হত্যা হয় সে দিন থেকে আমি মানসিক অবসাদে ভুগছি। যে দৃশ্যটি দেখেছি তা মাথা থেকে কোনওরকমে বের হচ্ছে না। ফলে রাতে ঘুম হচ্ছে না। তার পর পুলিশের বার বার ডাক। আমি জীবনে থানার চৌকাঠ পার করিনি। এই আমি আর সহ্য করতে পারছি না। সে জন্যই এই পথ বেছে নিলাম। এতে কারও প্ররোচনা নেই।"
আরও পড়ুন পুরবোর্ড গঠন ঘিরে ধুন্ধুমার ঝালদায়, বুধবার বনধের ডাক কংগ্রেসের
এদিকে, পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেসের সভাপতি নেপাল মাহাতোর অভিযোগ, তপন কান্দুর মতো এই ঘটনাও পুলিশের অত্যাচারের নিদর্শন। পুলিশের চাপেই আত্মহত্যা করেছেন তপনের বন্ধু সেফাল। বিরোধীদের দাবি, সিবিআই তদন্ত শুরু করার আগেই চাপ দিয়ে খুনের একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শীকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে পুলিশ!