আগামী ১৬ই জানুয়ারি ঝালদা পুরসভার চেয়ারপার্সন নির্বাচন করতে হবে। শুক্রবার রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এছাড়াও নির্দেশে বলা হয়েছে যে, জেলাশাসকের উপস্থিতিতে ঝালদা পুরসভার চেয়্যারপার্সন নির্বাচন হবে। পর্যাপ্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রাখতে হবে। কাউন্সিলরদের পুর-নির্বাচনে অংশগ্রহণে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেই বিষয়টিও পুলিশ প্রশাসনকেই নিশ্চিত করতে হবে।
সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকা সত্ত্বেও তৃণমূল কংগ্রেসের একজন দলীয় কাউন্সিলরকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করে অস্থায়ী প্রশাসক বোর্ড তৈরি করেছিল ঝালদা পুরসভায়। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে গত ২ ডিসেম্বর এই মর্মেই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। সেই বিজ্ঞপ্তি এদিন খারিজ করেছে আদালত।
গতবছর ঝালদা পুরসভা নির্বাচনের ফল ত্রিশঙ্কু হয়েছিল। পরে নির্দলের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গড়ে তৃণমূল। এরমধ্যেই খুন হয়ে যান কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। কিন্তু, ২০২২ সালের নভেম্বরে ঝালদার বোর্ড গঠনে তৃণমূলকে সমর্থনকারী নির্দল কাউন্সিলর শিলা চট্টোপাধ্যায় শাসক দলের থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় তৃণমূল। তৈরি হয় সংকট।
আরও পড়ুন- ‘আজ আপনি স্টার, TRP একা পেলেন’, বেহাল রাস্তার নালিশ শুনেই পাল্টা বললেন শতাব্দী
এবার নির্দল কাউন্সিলর শিলা চট্টোপাধ্যায়কেই চেয়ারপার্সন পদপ্রার্থী করে কংগ্রেস। চেয়ারপার্সন নির্বাচনের দাবি তোলা হয়। অনাস্থা প্রস্তাব আনে কংগ্রেস। ২২ নভেম্বরের আস্থা ভোটে দুই নির্দল প্রার্থীর সমর্থন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় কংগ্রেস। কিন্তু ক্ষমতা দখল করতে পারেনি হাত শিবির। এসবের মধ্যেই পুরসভার ক্ষমতা ধরে রাখতে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জবা মাছুয়াকে ঝালদা পুরসভার পুর-প্রশাসক বলে ঘোষণা করা হয়। সেই মর্মেই নির্দেশ জারি করেছিলেন রাজ্যপাল। যার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা গড়ায়। কিন্তু এদিন রাজ্যের যুক্তি খারিজ করেছে আদালত।
১২ আসন বিশিষ্ট ঝালদা পৌরসভার একদিকে কংগ্রেস এবং নির্দল মিলিয়ে ৭ জন কাউন্সিলর, অন্যদিকে শাসক দল তৃণমূলের পক্ষে ৫ জন। এই অবস্থায় নজরে ঝালদার চেয়রাপার্সন নির্বাচনের লড়াই।