Advertisment

না তৃণমূল না কংগ্রেস, হাইকোর্টের নির্দেশে ঝালদা পুরসভার রাশ গেল জেলাশাসকের হাতে

এই নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছেন কংগ্রেসের নেপাল মাহাতোরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
2016 slst teacher recruitment case fake age calcutta high court directs cbi enquiry

কলকাতা হাইকোর্ট।

ঝালদা পুরসভায় প্রশাসক নিয়োগ মামলায় বড় ধাক্কা খেল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী কংগ্রেসের কোর্টেও বল গেল না। তৃণমূল বা কংগ্রেস- কোনও দলই তাঁদের কাউন্সিলরকে চেয়ারম্যান পদে বসাতে পারছে না। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট প্রশাসক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে, আগামী এক মাস ঝালদা পুরসভার যাবতীয় দায়িত্ব সামলাবেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক। তবে এই নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছেন কংগ্রেসের নেপাল মাহাতোরা।

Advertisment

তৃণমূল জবা মাছোয়াকে চেয়ারপার্সন হিসাবে নিয়োগ করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিল হাইকোর্টের নির্দেশ। আবার আস্থা ভোটে জয়ী হওয়ার পর শীলা চট্টোপাধ্যায়কে চেয়ারপার্সন করতে চেয়েছিল কংগ্রেস। তাঁর নামও মনোনীত হয়। কিন্তু আপাতত দায়িত্ব পাচ্ছেন না। ফলে ঝুলে রইল ঝালদা পুরসভার বোর্ড গঠন। আদালতে তৃণমূল ধাক্কা খেলেও পুরসভার রাশ হাতে রইল রাজ্য সরকারের।

উল্লেখ্য, গত শনিবারই ঝালদায় কংগ্রেসের নেতৃত্বে পুরবোর্ড গঠনের কথা ছিল। তার আগে শুক্রবার রাতেই ঝালদায় প্রশাসক হিসেবে এক তৃণমূল কাউন্সিলরকেই নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে বেআইনি ও অনৈতিক বলে মন্তব্য করে বোর্ড গঠনে অনড় কংগ্রেস। প্রয়োজনে আবারও আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল হাত-শিবিরের। সেইমতো মামলা হয় হাইকোর্টে। এদিন হাইকোর্ট সেই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিল।

আরও পড়ুন তুমুল উত্তেজনা ভূপতিনগরে, দেখলেই লাঠিপেটা পুলিশের, বিজেপি কর্মীদের তাড়িয়ে ছাড়ল তৃণমূল

ঝালদা পুরসভায় দুই নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থনে বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল। যদিও পরে গত ২১ নভেম্বরে আস্থা ভোটে বোর্ড যায় কংগ্রেসের হাতে। নির্দলদের সমর্থন পেয়েই পুরবোর্ড তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় কংগ্রেস। তবে পুরবোর্ড ছিনিয়ে নিতে তৃণমূল নানা কৌশল নিতে পারে বলে শুরু থেকেই বলে চলেছিলেন কংগ্রেসের নেতারা। শনিবারই ঝালদায় পুরবোর্ড গঠনের কথা ছিল কংগ্রেসের। কিন্তু তার আগে শুক্রবার রাতেই পুরবোর্ডের মাথায় প্রশাসক হিসেবে তৃণমূল কাউন্সিলরকেই নিয়োগ করে রাজ্য সরকার।

শনিবার রাজ্য সরকারের এই নিয়োগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে ঝালদায় রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপের দাবি জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি। সোমবার রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশ তাঁদের ভ্যানে করে তুলে নিয়ে যায়। তবে তাতে দমেনি কংগ্রেস। নেতৃত্ব জানিয়েছে, আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে যদি রাজ্যপাল হস্তক্ষেপ না করেন।

tmc CONGRESS West Bengal Jhalda
Advertisment