লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি কথার কথাই রয়ে গিয়েছে। উন্নয়ন হবে এই দাবি করে নির্দল সহ কংগ্রেসের প্রতীকে জয়ী চার কাউন্সিলর জোড়-ফুল পতাকা হাতে তুলেছেন। ফলে ঝালদা পুরসভায় গরিষ্ঠতা হারিয়েছে কংগ্রেস। এরপরই বহস্পতিবার ঝালদার উপ পুর-প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা।
কেন ইস্তফা?
দল ছেড়ে যেসব কাউন্সিলর তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন তাঁদের আগেই 'বেইমান' বলে তোপ দেগেছিলেন পূর্ণিমা। এদিন ঝালদা পুরভার এগজিকিউটিভ অফিসার বিধান পাণ্ডের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন পূর্ণিমা কান্দু। দাবি করেছেন 'নৈতিক কারণে পদ থেকে ইস্তফা দিলাম।' সূত্রের খবর, বাঘমুন্ডির প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক তথা প্রদেশ কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতর সঙ্গে পরামর্শ করেই ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন পূর্ণিমা। তবে স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, উপপ্রধান পদে বসলেও পূর্ণিমা কান্দুকে তেমনভাবে পুরসভায় দেখা যেত না।
আরও পড়ুন- ‘মানহানি’ করেছেন রাজ্যপাল! রাজভবনে গেল আইনি নোটিস, ক্ষমা না চাইলেই…
গত প্রায় দেড় বছর রাজনৈতিক টানাপোড়েন, দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর কংগ্রেসের হাত থেকে ঝালদা পুরসভার দখল পেয়েছে তৃণমূল। তার আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ ছিল পুরপ্রধানের দায়িত্ব সামলাবেন নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ডেপুটি হবেন কংগ্রেসের কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু। কিন্তু, পুরপ্রধান সহ কংগ্রেসের চার কাউন্সিলরের দল বদলের ফলে ঝালদায় সংখ্যালঘিষ্ট হয়ে পড়ে গাত শিবির। এরপর কার্যত বাধ্য হয়ে উপপুরপ্রধানের দায়িত্ব ছাড়লেন কংগ্রেসের পূর্ণিমা।
আরও পড়ুন- বড় ধাক্কা মমতার পুলিশের, ইডি’কে ‘হেনস্থা’ মামলায় কী নির্দেশ হাইকোর্টের?