দায়িত্ব নেওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে তৃণমূলের সুদীপ কর্মকারকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ওই পুরসভার চেয়ারপার্সন পদে দায়িত্ব দেওা হয়েছে নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমাকে। আপাতত ভারপ্রাপ্ত পুরপ্রধান হিসাবে পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত দায়িত্ব সামলাবেন পূর্ণিমা কান্দু। বর্তমানে ঝালদা পুরসভার উপ-পুরপ্রধান পূর্ণিমা কান্দু।
ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনে নির্দল কাউন্সিলেররের সমর্থনে জয় পায় কংগ্রেস। চেয়ারপার্সন হন শীলা চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর কাউন্সিলর পদ খারজি করে দেন পুরুলিয়ার মহকুমাশাসক। নির্দেশিকা জারি করে তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকারকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়েছিল। প্রশাসনের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন শীলা। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ ফেব্রুয়ারি।
তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকারকে পুর-প্রধান করার যে নির্দেশ পুরলিয়ার মহকুমা শাসক রীতম ঝাঁ বৃহস্পতিবার দিয়েছিলেন তাতে স্থগিতাদেশ জারি করেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এদিনের শুনানিতে আদালতের সম্মান নিয়ে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি সিনহা। বলেছেন, 'আদালতের নির্দেশে ১৭ জানুয়ারি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন একজন। ১৮ তারিখ তাকে সরিয়ে দিয়ে নতুন একজনকে নির্বাচিত করলেন। হেরে যাওয়া রাজনৈতিক দলের থেকে সুদীপ কর্মকারকে নির্বাচিত করলেন। আদালতকে একটু সম্মান করুন।
দায়িত্ব পেয়ে পূর্ণিমা কান্দু বলেন, 'আদালতের রায়ে আমরা খুশি। ঝালদার মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়ছেন। ওরা বার বার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও সফল হয়নি। এবারও হল না।'
শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজের উপরও স্থগিতাদেশ জারি হয়েছে। নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'সুদীপ কর্মকার সরে গিয়েছে এতেই আমরা খুশি। পূর্ণিমা কান্দু ভাল করে পুরসভা চালাক, এটাই চাইব।'
গত ১৬ জানুয়ারি ঝালদায় চেয়ারম্যান নির্বাচন হন শীলা চট্টোপাধ্যায়। ১২ আসনের ঝালদা পুরসভায় ৭-০ ব্যবধানে ক্ষমতা ধরে রাখে কংগ্রেস। কিন্তু বৃহস্পতিবার নবনির্বাচিত পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়ের সদস্যপদ খারিজ করে দেন ঝালদার মহকুমাশাসক। ওয়েস্টবেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল অ্যাক্ট (১৯৯৩)-এর ২১-বি ধারা অনুযায়ী ঝালদা পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়ের সদস্যপদ খারিজ করেন পুরুলিয়ার মহকুমা শাসক। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন শীলা।