লালবাগ বিশেষ আদালতের বাইরে উপচে পড়েছিল উৎসুক মানুষের ভিড়। তারই মধ্যে দেশব্যাপী সাড়া ফেলে দেওয়া জিয়াগঞ্জ 'ট্রিপল মার্ডারকাণ্ডে' বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত উৎপল বেহেরাকে আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ। অভিযুক্ত উৎপলের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক সৌমজিৎ মুখোপাধ্যায়। চলতি মাসের ২৬ তারিখ ফের শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
আরও পড়ুন: জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ড: বৃষ্টিভেজা রাতে ধৃত উৎপলকে নিয়ে ঘটনার পুননির্মাণ পুলিশের
বিচারকের এই ঘোষণা শোনার পর আদালতের বাইরে তার পরিবারের লোকেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আরও পড়ুন: জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ড: বন্ধুপ্রকাশ খুনে উপস্থিত ছিল উৎপলই, সনাক্ত প্রত্যক্ষদর্শীর
জিয়াগঞ্জ থানার লেবুবাগ এলাকায় গত ৮ অক্টোবর, দশমীর দুপুরে সপরিবারে খুন হন শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল। ওই ঘটনার সাত দিনের মাথায় পুলিশ গ্রেপ্তার করে সাগরদীঘি থানার সাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা উৎপল বেহারাকে। শিক্ষক পরিবার খুনের ৮৭ দিনের মাথায় পুলিশ আদালতে ৪৯৩ পাতার চার্জ শিট জমা করল।
আইনজীবী কৌশিক দে আদালতে উৎপলের জামিনের আবেদন জানান। তবে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন। পরে এই বিষয়ে উৎপলের আইনজীবী কৌশিক দে বলেন, 'পুলিশের এফআইআর থেকে যে তথ্য মিলেছে তার থেকে মনে হয় না উৎপল ওই ধরনের অপরাধ করতে পারে। তার ভিত্তিতেই আমি মক্কেলের জামিনের আবেদন করেছিলাম। কিন্তু, বিচারক তা খারিজ করে দেন।'
আরও পড়ুন: জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের হাড়হিম করা নীল নকশা: অর্ডার দেওয়া চপার দিয়ে নিপুণভাবে খুন, গামছায় মোছা রক্ত!
জামিন খারিজের খবর পেয়েই আদালত চত্বরে উৎপলের পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়েন। এপ্রসঙ্গে অভিযুক্তের বাবা মাধব বেহারা বলেন , 'আমি অসুস্থ খাটতে পারিনা ছেলে জামিন পেলে আমার পরিবারটা বেঁচে যেত।'