Premium: নব্বই পেরিয়েও লক্ষ্যে অবিচল, পেটের তাগিদে বৃদ্ধার লড়াই অনুপ্রেরণা জোগাবে

বয়স ৯০ পেরোলেও, রোদ-ঝড়-জল-বৃষ্টি সামলে প্রতিদিনের তাঁর এই লড়াই অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে সকলকেই। তিনিই শহরের প্রবীণতম খবরের কাগজ বিক্রেতা।

বয়স ৯০ পেরোলেও, রোদ-ঝড়-জল-বৃষ্টি সামলে প্রতিদিনের তাঁর এই লড়াই অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে সকলকেই। তিনিই শহরের প্রবীণতম খবরের কাগজ বিক্রেতা।

author-image
Sayan Sarkar
New Update
Kolkata news, Kolkata latest news, Kolkata news live, Kolkata news today, Today news Kolkata,oldest woman,newspapers,newspaper vendor,Dhanashree Devi"

বয়স ৯০ পেরোলেও, রোদ-ঝড়-জল-বৃষ্টি সামলে প্রতিদিনের তাঁর এই লড়াই অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে সকলকেই। তিনিই শহরের প্রবীণতম খবরের কাগজ বিক্রেতা।

২০ বছর আগে স্বামী প্রয়াত হয়েছেন। তারপর থেকে প্রতিদিন নিজের পেটের ভাত জোগাড় করতে খবরের কাগজ বিক্রি করেন ভবানীপুরের ধনশ্রী দেবী। বয়স ৯০ পেরোলেও, রোদ-ঝড়-জল-বৃষ্টি সামলে প্রতিদিনের তাঁর এই লড়াই অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে সকলকেই। তিনিই শহরের প্রবীণতম খবরের কাগজ বিক্রেতা।

Advertisment

প্রতিদিন নিয়ম করে ভোর ৫টায় ঘুম থেকে ওঠা। তারপর খবরের কাগজ নিয়ে বেরিয়ে পড়া ভবানীপুরের অলি-গলি। শেষে হাজরা মোড়ের কাছে খবরের কাগজ নিয়ে বসেন তিনি। দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত চলে কেনাবেচা। তারপর হিসাব বুঝিয়ে বাড়ি আসতে আসতে দুপুর দেড়টা।

এক হাতে লাঠি অন্য হাতে খবরের কাগজের বাণ্ডিল এভাবেই টানা ২০ বছরের বেশি সময় ধরে ভবানীপুর সংলগ্ন অঞ্চলে খবরের কাগজ বিলি করে চলেছেন তিনি। ২০০৩ স্বামী কাশীনাথ শাউয়ের মৃত্যু পর মাত্র ৬মাসেই ব্যবসার যাবতীয় কিছু শিখে নেমে পড়েন পেটের তাগিদে এক কঠিন লড়াইয়ে।

ধনশ্রী দেবীর অবশ্য বরাবরই আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, "স্বামী বেঁচে থাকার সময়ও ব্যবসার যাবতীয় কিছু শিখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সংসারের চাপে আর শেখা হয়নি। স্বামীর মৃত্যুর পর আর অন্যের উপর নির্ভর করে থাকতে চাইনি। সেই থেকে শুরু কঠিন এই লড়াই"।

Advertisment

করোনাকালীন সময়তেও এক দিনের জন্য কাজে কামাই ছিল না ধনশ্রী দেবীর। তিনি এসপ্ল্যানেড কালেশশন পয়েন্ট থেকে সংবাদপত্র সংগ্রহ করে সেগুলি পায়ে হেঁটে বিতরণ করতেন এতদিন। এখন বয়সের কারণে তার এক মাত্র ছেলে সন্তোষ সকালে কালেকশন পয়েন্ট থেকে খবরের কাগজ এনে মার হাতে তুলে দেন। এরপর তিনি সেগুলি বাড়ি বাড়ি বিতরণ করতে বেরিয়ে পড়েন।

প্রতিমাসে ১০৫০ টাকার সামান্য আয়। অথচ তিনি আবেগের সঙ্গে তাঁর এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ধনশ্রীদেবীর কথায়, 'বর্ষাকালে কাজ করা কঠিন। বেশ কয়েকটি রাস্তায় জল জমে থাকে। সেই জল পেরিয়েও কাজ চালিয়ে যাই। গ্রাহকদের কাছে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে সংবাদপত্র পৌঁছে দেওয়াটা আমার কর্তব্য'।

kolkata news