যাদবপুর-কাণ্ডে গ্রেফতার মনোতোষ ঘোষ হুগলির আরামবাগের সার্কাস ময়দানের বাসিন্দা। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের রবিবার ভোরের দিকে পুলিশ মনোতোষকে গ্রেফতার করেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিদ্যার দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ধৃত মনোতোষ। ছেলের গ্রেফতারির খবর পেতেই মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে মা-বাবার। তাঁদের ছেলে কোনওভাবেই র্যাগিংয়ের মতো ঘটনায় যুক্ত থাকতে পারে না বলেই দৃঢ় বিশ্বাস বাবা-মার। মনোতোষ ছাড়াও ছাত্র-মৃত্যুতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও এক পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র দীপশেখর দত্তকে গ্রেফতার হয়েছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হোস্টেলের ১০৪ নম্বর ঘরে থাকেন বছর কুড়ির মনোতোষ ঘোষ। মৃত ছাত্র সেই ঘরেই 'অতিথি' হিসেবে থাকতে শুরু করেন। যাদবপুরের প্রথম বর্ষের ছাত্রর মৃত্যু-তদন্তে রবিবার ভোরের দিকে মনোতোষ ঘোষ নামে ওই পড়ুয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মনোতোষের বাড়ি হুগলির আরামবাগ পুরসভার ২ নং ওয়ার্ডের সার্কাস ময়দানে। বাবা শান্তিনাথ ঘোষ ও মা টগর ঘোষ।
আরও পড়ুন- ‘ইন্ট্রো’র নামে মাত্রাছাড়া ‘মানসিক অত্যাচার’! যাদবপুর-কাণ্ডে ধৃত আরও ২
শান্তিনাথ ঘোষের ফার্স্ট ফুডের দোকান রয়েছে আরামবাগ গৌরহাটিতে। স্বামী-স্ত্রী দু'জনে মিলে এই দোকান চালান। সারাদিন দোকান চালিয়ে রাতে তাঁরা বাড়ি ফেরেন। গতকালও মনোতোষের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। মনোতোষের মা-বাবা জানান, তাঁদের ছেলে গতকাল ফোনে জানায় পুলিশ তাঁকে ডেকেছে। তবে ভয়ের কোনও কারণ নেই বলেই সেই সময় ছেলে বাবা-মাকে জানিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- স্বপ্নদীপের মৃত্যু! ‘উপাচার্যদের জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের গায়ে কালি’, বললেন অধ্যাপক অভিজিৎ চক্রবর্তী
তবে তাঁদের ছেলে কারও মৃত্যুর কারণ হতে পারে না বলে দৃঢ় বিশ্বাস মনোতোষের মা-বাবার। মনোতোষ আরামবাগ হাইস্কুল থেকে পড়াশোনা করেছেন। তাঁর বাবা লেখাপড়া বিশেষ একটা জানেন না। তবে মনোতোষ ছোট থেকেই বেশ মেধাবী। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে যাদবপুরে ভর্তি হন তিনি।
এদিকে, আজ শান্তিনাথ ঘোষকে যাদবপুর থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। সেই চিঠি আরামবাগ থানা থেকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে গিয়েছে পুলিশ। মনোতোষের বাবা শান্তিনাথ ঘোষ বলেন, 'আমার ছেলে কোনও দোষ করেনি। তবে যাদবপুর থানায় গিয়ে কথা বললে আরও স্পষ্ট করে জানতে পারব।'