Junior Doctors Hunger Strike: ধর্মতলায় অবস্থানমঞ্চে জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশনের ৮৫ ঘণ্টা পেরোল। শনিবার রাত থেকে আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রথমে ৬ জন ডাক্তার অনশন শুরু করেছিলেন। রবিবার সেই অনশনে যোগ দেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো। সেই অনশন ৮৫ ঘণ্টা পেরিয়েছে।
Advertisment
বুধবার ষষ্ঠীতেও পথে-প্রতিবাদে থাকছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বুধবার সকালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে নির্যাতিতার স্মরণে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও কলকাতার বিভিন্ন পুজোমণ্ডপে বিলি করা হবে চিকিৎসকদের ১০ দফা দাবি সম্বলিত লিফলেট। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে থাকবে আরজি কর এবং জয়নগরের নির্যাতিতার প্রতীকী মূর্তি। ষষ্ঠীর দিন উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরবেন তাঁরা। মানুষের হাতে হাতে আন্দোলনকারীরা নিজেদের বার্তা ছড়িয়ে দেবেন।
আন্দোলনকারী চিকিৎসক দেবাশিস হালদার জানিয়েছেন, 'আরজি করের সিনিয়র ডাক্তারদের গণইস্তফা মনোবল বাড়িয়েছে। এসএসকেএম এবং ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র ডাক্তাররাও ২৪ ঘণ্টার সময় দিয়েছেন সরকারকে। তাঁরাও গণইস্তফা দিতে পারেন। বড়দের এই পদক্ষেপ আমাদের সাহস জোগাচ্ছে।'
এদিকে, সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জানান, ১০ তারিখের মধ্যে মেডিক্যাল কলেজগুলির পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং সংস্কারের সব কাজ ৯০ শতাংশ শেষ হয়ে যাবে। সিসি ক্যামেরা বসানো থেকে ডিউটি রুম, শৌচাগার থেকে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ- চিকিৎসকদের দাবির মধ্যে যেগুলি আছে তার প্রায় সবই শেষের পথে। মুখ্যসচিবের সেই কাজের খতিয়ান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনকারী ডাক্তাররা। তাঁরা এই কাজের অগ্রগতি নিয়ে সন্দিহান।