ববিতা সরকারের চাকরির 'বৈধতা' মামলায় বৃহস্পতিবার কোনও নির্দেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। তবে, ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যয়ের নির্দেশ, বেআইনি নিয়োগের জেরে চাকরি খোয়ানো প্রাক্তন মন্ত্রী কন্যা পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার থেকে প্রাপ্ত বেতনের সব টাকা ববিতাকে আলাদ করে সরিয়ে রাখতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৯ জানুয়ারি।
ববিতা সরকার, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম চর্চিত নাম। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতাকে সরিয়ে ওই চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। চলছিল স্কুল শিক্ষিকার চাকরিও। কিন্তু হটাৎ নিয়োগ দুর্নীতি মামলার অন্যতম মুখ ববিতার বিরুদ্ধেই উঠেছে নম্বর কেলেঙ্কারির অভিযোগ। যা নিয়ে শোরগোল পড়েছে। প্রশ্নের মুখে ববিবার চাকরির বৈধতা। ববিতার চাকরি আসলে আসতে তাঁর প্রাপ্য বলে হাইকোর্টে মামলা করেছেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা অনামিকা রায়।
ববিতার যুক্তি, স্নাতোকস্তরে নয়, উচ্চ-মাধ্যমিকে ৬০ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আবেদনপত্র পূরণের সময় সম্ভবত ভুল কর ৬০ শতাংশ নম্বরে টিক পরে গিয়েছে। পর্ষদও এক্ষেত্রে বিষয়টি খুঁটিয়ে দেখেনি। আগেই এই মামলায় এসএসসিকে পার্টি করতে নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত।
অভিযোগ উঠেছে, ববিতা সরকার নিজের স্নাতোক পর্যায়ের নম্বরের শতকরা হার বাড়িয়ে এসএসসিকে দেখিয়েছে। এতেই বেড়েছে ববিতার ‘অ্যাকডেমিক স্কোর’। ফলে চাকরি মেলায় ব়্যাঙ্কিয়ে সুবিধা হয়েছে তাঁর। বিবাতার ভাইরাল হওয়া আবেদনপত্রে দেখা যাচ্ছে, স্নাতক স্তরে ৮০০ নম্বরের মধ্যে ৪৪০ পেয়েছেন ববিতা। শতকরা হিসাবে যা ৫৫ শতাংশ। অভিযোগ এসএসসিতে ববিতার স্নাতকস্তরের প্রাপ্ত নম্বরের শতকরা হার ৬০ শতাংশ বা তার বেশি বলে উল্লেখ রয়েছে। অভিযোগ সত্যি হলে, শিক্ষক নিয়োগের চাকরি পরীক্ষায় ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোর ৩৩ এর বদলে হবে ৩১। ফলে র্যাঙ্কিংয়েও পিছিয়ে পড়বেন ববিতা সরকার। অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই তালিকায় নাম থাকা চাকরিপ্রার্থী অনামিকা রায়ের দাবি ববিতা সরকারের চাকরি আসলে তাঁর প্রাপ্য। তালিকায় ববিতার ঠিক পরেই ছিলেন অনামিকা।
আরও পড়ুন- অবশেষে স্বস্তি, ‘যোগ্য’ প্রার্থীদের সুপারিশপত্র দেওয়া শুরু এসএসসি-র