শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় ওএমআর সিটে কারচুপি হয়েছে। যার জেরেই যোগ্যদের বঞ্চিত করে অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দিয়েছে এসএসসি। হাইকোর্টে মামলাকারীরা এই অভিযোগ তুলেছিলেন। যার প্রেক্ষিতেই নিয়োগ মামলায় ওএমআর সিট কেলেঙ্কারি উদঘাটনে সিবিআইকে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ছিল এই সংক্রান্ত মামলারই শুনানি।
এ দিনের এই শুনানিতে সিবিআই নিয়োগ মামলায় ওএমআর সিটের কারচুপির তদন্ত সংক্রান্ত রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দেয়। সিবিআইয়ের দাবি করে, এসএসসি-র ওএমআর সিটে ৮ হাজার ১৬৩ টি কারচুপি ধরা পড়েছে। এর বেশি কিছু এ দিন আদালতে খোলসা করেনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
সিবিআই-য়ের জমা করা রিপোর্টের প্রেক্ষিতে এ দিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইয়ের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, ৮ হাজার ১৬৩ টি কারচুপির মধ্যে ভুয়ো নিয়োগপত্র কতজন পেয়েছেন?
এছাড়াও, ওএমআর শিট কেলেঙ্কারির তদন্তে গঠিত সিবিআইয়ের সিটের প্রধানকে বুধবারই দুপুর ২টোর মধ্যে আদালতে তলব করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তদন্তের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে জানতেই সিট প্রধানকে তলব করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন- নিয়োগ মামলায় বড় নির্দেশ হাইকোর্টের, কর্মশিক্ষার নিয়োগে আপাতত স্থগিতাদেশ
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের সিট নিয়ে চলতি মাসের শুরুতে অসন্তোষ প্রকাশ করছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, সিটের কয়েক জন সদস্য ঠিক মতো কাজ করছেন না। প্রয়োজনে ওই সদস্যদের পরিবর্তন করতে হবে। এছাড়া, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার
গতিপ্রকৃতি নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি। বলেছিলেন, 'আসল অপরাধী কে তা সবাই জানেন, কিন্তু আমার জীবদ্দশায় তিনি বা তাঁরা গ্রেফতার হবেন কিনা, লজানা নেই।'
বিচারপতির এহেন কড়া অবস্থানের পরই এসএসসি-র ওএমআর শিট নম্বর কারচুপির তদন্তে এ দিন চাকরি প্রাপকদের তলব করেছে সিবিআই। নিজাম প্যালেসে দুই মেদিনীপুর এবং উত্তর দিনাজপুরের প্রায় ২০ জনকে চাকরি প্রাপককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।