গত শুক্রবারই ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ মঙ্গলবার সংশোধন করলেন বিচারপতি। ফলে কমল বাতিল শিক্ষকের সংখ্যা। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এদিন বলেছেন, 'বাতিলের সংখ্যাটা সম্ভবত ৩২ হাজারের কাছাকাছি।'
গত শুক্রবার চাকরি বাতিলের নির্দেশে মুদ্রণজনিত ভুল বা টাইপোগ্রাফি রয়েছে বলে বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন মামলকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তাঁর দাবি ছিল, প্রথমত- রায়ে প্যানেলের সর্বনিম্ন নম্বর লেখা হয়েছে ১৪.১৯১। আসলে তা হবে ১৩.৭৯৬। দ্বিতীয়টি- ৩৬ হাজারের নিয়োগে ত্রুটি হয়নি। সংখ্যাটা কিছুটা কম।
আইনজীবীর সেই দৃষ্টি আকর্ষণের প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শুক্রবারের নির্দেশে সংশোধন করেন।
গত শুক্রবার নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে ২০১৪-র টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে নিয়োগ পাওয়া ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বাতিলদের মধ্যে অনেকেই অপ্রশিক্ষিত, নিয়োগের পরীক্ষায় বহু পরীক্ষার্থীর অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি এবং সংরক্ষণ নীতি মানা হয়নি বলেই চাকরি বাতিল বলে জানিয়েছিলেন বিচারপতি। নির্দেশে উল্লেখ রয়েছে, বাতিল শিক্ষক-শিক্ষিকারা আগামী ৪ মাস চাকরি করতে পারলেও তাঁরা পার্শ্বশিক্ষকের হারে বেতন পাবেন। আর এই সময়ের মধ্যে শূন্যপদে নতুন নিয়োগ করতে হবে পর্ষদকে। প্রয়োজনে নিয়োগের অর্থ নিতে হবে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের কাছ থেকে।
কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। চাকরি হারাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।