পুলিশ আগেই অনুমতি দেয়নি। আদালতে সভার অনুমতির আর্জি জানিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু তাতেও লাভ হল না। বাঁকুড়ার কোতুলপুরে বিজেপিকে বিজয়া সম্মিলনী করার অনুমতি দিলেন না বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এদিন দুপুরে শুনানি পর্বে অবস্থা অন্যরকম ছিল। তবে বিকেলে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপারের বক্তব্য শোনার পর মত বদলান বিচারপতি। দুপুরের নির্দেশে বিচারপতি জানিয়েছিলেন আধ ঘণ্টার মধ্যে বিজেপিকে সভার অনুমতি দিতে হবে। তবে বিকেলে পুলিশ সুপারের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'পুলিশ সুপারের কথায় সভার ময়দানটি অনেকটা বড়। সেখানে একটি মাত্র প্রবেশ এবং বাহিরের পথ রয়েছে। এই অবস্থায় পদপিষ্টের ঘটনা হলে আদালতের তো কিছু করার থাকবে না। জালিয়ানওয়ালাবাগের মতো ঘটনা হলে দায় কে নেবে?'
এরপরই বুধবার সভার অনুমতি বাতিল দেয় হাইকোর্ট।
বিজেপির আইনজীবীকে বিচারপতি কয়েকদিন পর সভা করতে বললেও তা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়। রাজভবনের সামনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্নায় কয়েক ঘন্টায় অনুমতি দেওয়া গেলে কেন বিরোধী দলের বিজয়ার সভার অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ সেই প্রশ্ন তোলেন পদ্ম শিবিরের আইনজীবী। এরপরই গত শীতে আসানসোলে কম্বল বিতরণের বিষয়টি তুলে ধরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'শিশুসুলভ আচরণ করবেন না। পুলিশের সুবজ সঙ্কেত ছাড়া অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।'
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, কোতুলপুরে সভা করার অনুমতি চেয়ে বিজেপির আবেদনে ত্রুটি ছিল। গত ২৮ অক্টোবর ইমেল মারফত অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। আদালতের কাছে ওই পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য নয়। গত ৩০ অক্টোবর লিখিত ভাবে অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু এত অল্প সময়ের মধ্যে আবেদন গ্রহণযোগ্য হয়নি। তাই শেষ মুহূর্তে আদালতেরও কিছু করার নেই।