৭ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ২০১৭-র টেটে ৮২ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু, ২০১৪-র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। ফলে পরীক্ষায় বসতে পারবেন কি না, তা নিয়েই সংশয় দানা বেঁধেছে প্রার্থীদের। এই ইস্যুতেই ফের একবার পরীক্ষা বন্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট বলেছেন যে, 'সোমবার পর্যন্ত দেখব, নির্দেশের পরও কাজ না হলে পরীক্ষা বন্ধ করে দেব।'
বুধবার এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার ফের আদালতের দ্বারস্থ হন আরও কয়েকজন চাকরি প্রার্থী। প্রার্থীদের পক্ষে আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এজলাসে উল্লেখ করেন, সোমবারের মধ্যে ৮২ নম্বর প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ বলে ঘোষণা না করা হলে অনেকেই পরীক্ষায় বসতে পারবেন না।
এরপরই বিচারপতি জানান, যখন পর্ষদের তরফ বুধবার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তখন সোমবার পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত। বুধবারই পর্ষদের আইনজীবী রাতুল বিশ্বাস জানিয়েছিলেন, শুক্রবারের মধ্যে ২০১৪-র ৮২ নম্বরপ্রাপ্ত প্রার্থীদের নাম উত্তীর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
তবে,পর্ষদকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মনে করিয়ে দেন যে, নিয়ম না মানা হলে প্রয়োজনে পরীক্ষা বন্ধও করে দিতে পারেন তিনি।
হাইকোর্টের নির্দেশ, ১৫০ এর মধ্যে ৮২ নম্বর পেলেই তাঁদের উত্তীর্ণ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। এনসিটিই সারা দেশের ক্ষেত্রে ৮২ পেলে পাস ঘোষণা করলেও, এতদিন এ রাজ্যে ৮৩ পেলে পাশ করানো হত। টেট প্রার্থীরা এর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, সংরক্ষিত শ্রেণিভুক্তরা ৮২ নম্বর পেলেই পাস করবেন। উত্তীর্ণ হতে গেলে ৫৫ শতাংশ নম্বর পাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু যাঁরা ৮২ নম্বর পেয়েছেন, শতাংশের হিসেবে তাঁদের প্রাপ্তি ৫৪.৬ বা ৫৪.৭ শতাংশ। চাকরি প্রার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, ৫৪.৬ বা ৫৪.৭ শতাংশ নম্বরকে ৫৫ শতাংশ হিসেবেই গণ্য করতে হবে। তারপর ২০১৭-র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও, ২০১৪-র ক্ষেত্রে কেন কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হল না, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।