justice abhijit ganguly made explosive comment against justice soumen sen: কলকাতা হাইকোর্টে দুই বিচারপতির নজিরবিহীন সংঘাত। মেডিক্যালে ভর্তি সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি সৌমেন সেনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়! এই প্রসঙ্গেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার কথা তোলেন। অভিষেককে নিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে বড়দিনের ছুটির আগে বিচারপতি সেন কি বলেছিলেন তাও তুলে ধরেন।
কী বলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?
মেডিক্যালে ভর্তি সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই-কে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ সেই এফআইআর খারিজের নির্দেশ দেয়। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, মূল মামলাকারী তাঁর পিটিশনে কোনওভাবেই এফআইআর-এর কথা উল্লেখ করেননি। তিনি এফআইআর চাননি। তাহলে কীসের ভিত্তিতে সিবিআই তদন্ত?
এই নির্দেশের পরই বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে দেওয়া বিচারপতি সৌমেন সেনের 'রাজনৈতিক নির্দেশ' ফাঁস করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বলেন, 'বড়দিনের ছুটির আগে বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে নিজের চেম্বারে ডেকেছিলেন বিচারপতি সৌমেন সেন। সেখানে বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে ডেকে রাজনৈতিক নেতার মতো নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সেন। প্রথমে বলেছিলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ আছে, তাঁকে বিরক্ত করা যাবে না। তারপর বলেছিলেন, বিচারপতির অমৃতা সিনহার এজলাসে শুনানির লাইভ স্ট্রিমিং বন্ধ করতে হবে। তৃতীয়ত বলেছিলেন, প্রাথমিকের দু'টি মামলা খারিজ করতে হবে বিচারপতি সিনহাকে।'
আরও পড়ুন- Mamata-Dilip: ‘গাড়ির গতি ভারতে ২০০ কিলোমিটার হয় কিনা জানা নেই’, মমতার মন্তব্যে টিপ্পনি দিলীপের
বিচারপতি সিনহার কাছ থেকে বিচারপতি সেনের নির্দেশ শুনেছেন বলে দাবি করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'বিচারপতি সিনহা বিষয়টি প্রধান বিচারপতিকে জানিয়েছেন। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এটা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে জানিয়েছেন। আমি বিচারপতি সিনহার থেকে এটা জানতে পেরেছি।'
নির্দেশনামায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় উল্লেখ করেছেন, 'মেডিক্যাল দুর্নীতি মামলায় নির্দেশনামা ও আবেদনপত্রের কপি ছাড়াই সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিচ্ছেন বিচারপতি সেন। অন্য কেউ গেলে এটা করবেন তো? ভুল বার্তা পাঠাচ্ছেন বিচারপতি সেন। বিচারপতি সৌমেন সেন স্পষ্টতই একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছেন। তাই সুপ্রিম কোর্টের উচিত তার সমস্ত নির্দেশ খারিজ করা।'