বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কট, তাঁর বাড়ির সামনে পোস্টার লাগানো নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য তাঁরই সতীর্থ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। 'এত সাহস কোন দুবৃত্তের, তা খুঁজে বের করতে হবে।' বিচারপতি মান্থার বাড়ির সামনে পোস্টার লাগানো ইস্যুতে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
আবারও বিস্ফোরক মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। এবার সতীর্থ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কট ও তাঁর বাড়ির সামনে পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে মুখ খুললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এরাজ্যে গোটা বিচার ব্যবস্থাকে কলুষিত করার চেষ্টা হচ্ছে বলে মনে করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বাংলায় বিতারকদের ভয় দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে বলেও মনে করেন তিনি।
এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'বাংলায় বিচার ব্যবস্থাকে সন্ত্রস্ত করার একটা চেষ্টা চলছে। বিচারকদের ভয় দেখিয়ে নিজেদের দিকে আনার চেষ্টা চলছে। আমি ২৩ বছর ধরে আইনজীবী হিসেবে হাইকোর্টে ছিলাম। ৫ বছর ধরে বিচারপতি রয়েছি। এরকম আগে কখনও দেখিনি। এত সাহস কোন দুর্বৃত্তের, তা খুঁজে বের করতে হবে।'
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থেকেছে কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কট করে তুমুল বিক্ষোভ দেখিয়েছেন আইনজীবীদের একাংশ। অভিযোগ তৃণমূলপন্থী আইনজীবীদের একাংশই এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজালস বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন।
এদিকে তাঁর বিচারপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে বিরত থাকার সিদ্ধান্তে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। ‘বিচারব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ, উছৃঙ্খল মনোভাব দেখানো হয়েছে।’ অবমনানার রুল জারি করে বলেন বিচারপতি মান্থা। গোটা বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনও ফৌজদারি অপরাধ হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান বিচারপতি নিজেই।