এসএসসি গ্রুপ 'ডি' নিয়োগ মামলায় সিবিআইয়ের নতুন সিট গঠন করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। আট সদস্যের সিটে, বর্তানে আরও চারজনকে যুক্ত করা হল। আগের বিশেষ তদন্তকারী দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে দু'জনকে। সিটের প্রধান হিসাবে ফেরানো হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ডিআইজি অখিলেশ সিংকে।
নিয়োগ তদন্তে সিবিআইয়ের সিটের কাজে ক্ষুব্ধ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগেও তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সিট ভেঙে নতুন করে তৈরির। বুধবার তা বাস্তবে করলেন তিনি। এ দিনের শুনানিতে বিচারপতি বলেন, 'সিবিআই খুব আস্তে আস্তে কাজ করছে। কেন করছে, সেটা ওরাই জানে।'
গ্রুপ 'ডি' নিয়োগ মামলায় গত ১৮ই মে ৫৪২ জন 'অযোগ্য' চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ খতিয়ে দেখতে সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তদন্ত দ্রুত করতে ১৭ জুন আদালত সিবিআইয়ের আধিকারিকদের নিয়েই সিট গঠন করে। ছয় মাসের মধ্যে 'অযোগ্য'দের জেরা শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পাঁচ মাসে কেটে গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত 'অযোগ্য'দের মাত্র ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। কেন এই হাল? প্রশ্ন করে বিতারপতি বলেন, '৫৪২ জনের মধ্যে মাত্র ১৬ জনকে জিজ়্াসাবাদ করেছে। অর্থাৎ গত পাঁচ মাসে ৫ বা ১০ শতাংশকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হল না! কেন?'
সিবিআইয়ের যুক্তি, বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের গভীরে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কাদের থেকে ঠিক কারা কারা টাকা নিয়েছিলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাই দেরি। তবে চার্জশিটে সকলের নাম থাকবে বলে সিবিআই জানিয়েছে।
এরপরই দ্রুত তদন্তের জন্য কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। পূর্বে গঠিত সিটের পুনর্গঠন করেন তিনি। আগে সিটের দুই আধিকারিককে সরিয়ে, নতুন চার আধিকারিককে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।এতেই অখুশি বিচারপতি। তিনি মনে করছেন, বিশেষ তদন্তকারী দলের সকলে ঠিক করে কাজ করছে না।
SIT-এর অদলবদল
বিশেষ তদন্তকারী দল থেকে দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের ডেপুটি সুপার পদমর্যাদার আধিকারিক কে সি রিসিনামোল ও ইন্সপেক্টর ইমরান আশিককে। নতুন যে চার আধিকারিককে সিটের সদস্য হিসেবে আনা হয়েছে তাঁরা হলেন- অংশুমান সাহা, বিশ্বনাথ চক্রবর্তী, প্রদীপ ত্রিপাঠী এবং ওয়াসিম আক্রম। এই চারজনই ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক। সিটের প্রধান হিসাবে ফেরানো হয়েছে সিবিআইয়ের ডিআইজি অখিলেশ সিংকে। আগামী সাতদিনের মধ্যে তদন্তের দায়িত্ব নিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।